অবশেষে ফুঁ দিয়ে আগুন ধরানো সেই সাধুবাবা গ্রেপ্তার

অবশেষে ফুঁ দিয়ে আগুন ধরানো সেই সাধুবাবা গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

মানিকগঞ্জ শহরের আন্ধারমানিক এলাকায় একটি বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল চুরির ঘটনায় প্রতারক সাধুবাবা ওরফে বাচ্চু প্রধানকে (৭৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতারক সাধুবাবা ওরফে বাচ্চু ওই বাড়ির সবাইকে প্রসাদ খাইয়ে অচেতন করে এসব চুরি করে। চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা গণমাধ্যমকে জানান, সাধুবাবা ওরফে বাচ্চু প্রধান একজন পেশাদার প্রতারক।

গত ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার মানিকগঞ্জ শহরের আন্ধারমানিক এলাকায় পঙ্কজ কুমার মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে নিজেকে বারদী থেকে আগত সন্ন্যাসী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আশ্রয় চান।

তিনি আরও জানান, সরল বিশ্বাসে তারাও তাকে থাকতে দেয়। তারপর তার হাতে মাখানো স্যাকারিন মিশ্রিত মাটি খেতে দেয় তাদের। ফুঁ দিয়ে কাগজে আগুন ধরিয়ে ওই পরিবারের সকলকে চমকে দিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করে।

দুই রাত সেই বাড়িতে অবস্থান করে প্রতারক বাচ্চু। সুযোগ বুঝে সাধুবাবা ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত প্রসাদ খাইয়ে ওই বাড়ির ছয় সদস্যকে অচেতন করে তাদের টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।

আরও পড়ুন


বাজারে দাম কমছে স্বর্ণের

আজ নায়ক সালমান শাহ’র জন্মদিন, বেঁচে থাকলে বয়স হতো ৫০

রাজনীতি কারও চিরস্থায়ী জমিদারি নয়

সূরা বাকারা: আয়াত ৮০-৮৪, ইহুদীদের ধারণাকে আল্লাহর মিথ্যা ঘোষণা


ঘটনার পরদিন, প্রতিবেশীরা তাদের অচেতন অবস্থা দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর আবু মোহাম্মদ নাহিদকে খবর দেয়। পরে পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাউন্সিলর ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় মুমূর্ষু ব্যক্তিদের জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দুই-তিনদিন পর তাদের জ্ঞান ফিরলে সকলের অচেতন হয়ে থাকার প্রকৃত কারণ জানা যায়। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক পঙ্কজ কুমার মন্ডল বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর, তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে, প্রতারক সাধুবাবাকে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নারায়ণপুর এলাকা গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে বাচ্চু প্রধান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তার হেফাজতে থাকা লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।

news24bd.tv এসএম

সম্পর্কিত খবর