অনেক বড় ভাই বাবার মতো, কোন পরিবারে যদি বাবা কখনও মারা যান তাহলে সেই পরিবারের বড় ভাই ছোট ভাইদের অভিভাকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে মাঝে মধ্যে এমন পরিস্থিতি হয় যে ছোট ভাইয়েরাও বড় ভাইয়ের অভিভাবক হয়ে উঠেন।
হ্যাঁ এটা কোন গল্প সিনেমার কাহিনী কিংবা কৌতুকের অংশ নয়, কথায় আছে 'ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন কথাটা আসলেই সত্যি, তার বাস্তব প্রমাণ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানিগঞ্জ ইউনিয়নের ভালিশ্রী গ্রামে বড় ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে নিজের কিডনি দিলেন আপন ছোট ভাই। তারা ঐ গ্রামের মরহুম জহির আলীর পুত্র সন্তান।
গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সফল অস্ত্রোপচার শেষে তাঁরা দুই ভাই বর্তমানে ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ভাইয়ের জন্য ভাইয়ের এমন ভালবাসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়ালে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ভালিশ্রী গ্রামের মরহুম জহির আলীর তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে বড় ছেলে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন
আজ থেকে মাঠে গড়াবে আইপিএলের বাকি অংশের খেলা
যে দিন পর্যন্ত ডাউনলোড করা যাবে রাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র
আজ থেকে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু, কেজি ৩০ টাকা
গেল বছর হাফিজ রুহুল আমিনের হঠাৎ করে বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিডনিজনিত সমস্যা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়ে গত ৭ মাস ধরে ঢাকার কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসকরা তাঁর ২ টি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রুহুল আমিনকে কিডনি প্রতিস্থাপনের করার কথাও বলেন। এমন দুঃসংবাদে হতাশায় পড়ে পরিবারটি।
সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আপন ছোট ভাই সোয়েব আহমদ বড় ভাইকে বাঁচাতে পাশে দাঁড়ায়। স্বেচ্ছায় কিডনি দেয়ার জানায় সোয়েব। পরে গত বুধবার পরিবারের সকলের মতামতে ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তাদের অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই দিন বিকেল ৩ টার দিকে তাদের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে তাঁরা দুই ভাই সুস্থ রয়েছে।
সোয়েবের ভগ্নীপতি কাজি আহমদ কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপারেশনের পর এখন তাঁরা সুস্থ্য রয়েছেন।
news24bd.tv এসএম
