গর্ভধারণে সহায়ক ১০ খাবার

গর্ভধারণে সহায়ক ১০ খাবার

গর্ভধারণে সহায়ক ১০ খাবার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রকৃতিতে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা নারীর উর্বরতা বাড়াতে পারে।
গর্ভধারণের পর একজন নারীকে নানান পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও মা হওয়ার জন্য কোন ধরনের খাবার উর্বরতা বাড়বে সে বিষয়ে তেমন কোনো মন্ত্রণা দেওয়া হয় না।

আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানে এরকম কিছু খাবারের কথা উল্লেখ আছে যা নারীর গর্ভধারণে সহায়ক। খাদ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি খাবারের নাম এখানে দেওয়া হল।

কলা: পটাশিয়াম, ভিটামিন বি সিক্স সমৃদ্ধ, যা নারীর উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটা শুক্রাণু ও ডিম্বানু উন্নত করতে সক্ষম এমন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে।

মটর: চর্বিহীন প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ। তাছাড়া এটা নারীদের উর্বরতা ও লিবিডো বা কামোদ্দিপনা বাড়াতে সক্ষম বলে বেশ পরিচিত।

অল্প মাত্রার আয়রন ডিম্বানু দুর্বল করে ফেলে।

কম্পেলক্স কার্ব: অর্থাৎ যে শর্করা হজম হতে সময় নেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ হারে ইন্সুলিনের মাত্রা ডিম্বোস্ফোটনে বাধা দেয়। দেহ খারাপ শর্করা আগে হজম করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ভালো শর্করা বা জটিল শর্করা ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রায় ধীরে প্রভাব রাখে।

সবুজ সবজি: পাতাবহুল সবুজ সবজি- ফোলাট ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। যা ডিম্বোস্ফোটন উন্নত করে। পাতাবহুল সবজি নারীদের ‘লিবিডো’ বাড়ায়।

বেরি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এটা ডিম্বানুকে বয়স্ক ও ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে স্ট্রবেরি নারীদের লিবিডো বাড়ানোতে সহায়ক।

আলু: বেইক করা আলু ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস। তাছাড়া এটা ‘লুটিয়াল ফেইজ’ সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক বলে জানা যায়।

‘লুটিয়াল ফেইজ’ হল মাসিক চক্রের দ্বিতীয় পর্যায়। এই সময়ে নারীর দেহে উর্বরতা বৃদ্ধি এবং উদ্দিপনা ঘটা শুরু করে। এবং মাসিক শুরু হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

কুমড়ার বীজ: এটা ‘নন-হেম আয়রন’ সমৃদ্ধ। প্রাণিজ প্রোটিনে পোরফাইরিন শ্রেণির যৌগ থাকে যা আসলে প্রোটিন নয়। কুমড়ার বীজের প্রোটিনে এরকম কোনো যৌগ থাকে না।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী দৈনিক ৪০ গ্রাম এই আয়রণ গ্রহণ করেন তারা অন্যদের তুলনায় গর্ভধারণে কম সমস্যার মুখোমুখি হন।

চাইলে এই বীজ ভেজে স্বাদ বাড়াতে লবণ ও মরিচ ব্যবহার করে খাওয়া যায়।

জলপাইয়ের তেল: এই তেল মূলত মনোস্যাচুরেইটেড ফ্যাট যা শরীরের প্রদাহ কমায়। প্রদাহের কারণে ডিম্বাণু ও ভ্রূণের বৃদ্ধি বাধা পায়।

এই তেল দিয়ে খাবার রান্না করে অথবা সালাদের উপরে ছিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে।  

ননীযুক্ত দুধের খাবার: গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল নারী অল্পমাত্রার চর্বিযুক্ত দুধের খাবার খায় তারা গর্ভধারণের সময় বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই এই সমস্যা এড়াতে ননীযুক্ত দুধের খাবার খাওয়া উপকারী।

শেলফিশ: সামুদ্রিক মাছের মধ্য শেলফিশ  ভিটামিন বি টুয়েল্ভ’য়ে ভরপুর। এটা গর্ভধারণের জন্য দরকারী এন্ডোমেট্রিয়াম স্তর বা গর্ভের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আর পুরুষের শুক্রাণু উন্নত করে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর