‘বিসমিল্লাহ’র ফজিলত

‘বিসমিল্লাহ’র ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পবিত্র কোরআনের একটি বরকতময় বাক্য। আল্লাহর দুটি গুণবাচক নাম সংবলিত এই বাক্যটি সুরা তাওবা ছাড়া কোরআনের সব সূরার শুরুতে আছে। তা ছাড়া এটি কোরআনের স্বতন্ত্র আয়াত।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর আমলকারীর মর্যাদা আল্লাহ তাআলা বৃদ্ধি করবেন।

যা কুরআন-হাদিসে এসেছে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের জিন্দেগিতেও এর বাস্তবতা পাওয়া গেছে। বিসমিল্লাহর আমলের রয়েছে অনেক ফজিলত।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) জনাবে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) থেকে এরশাদ ফরমান - যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহির রাহমানি রাহীম পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা তাকে প্রত্যেক হরফের পরিবর্তে চার হাজার নেকি দান করবেন, চার হাজার গুনাহ মাফ করে দিবেন, এবং চার হাজার সস্মান বৃদ্ধি করে দিবেন। (নুজহাতুল মাজালিশ)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন, ‘হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অজু করবে, বিসমিল্লাহ বলবে।

তাহলে ফেরেশতাগণ তোমার অজু শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার জন্য পুণ্য লিখতে থাকবে। তুমি যখন স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করবে, তখন বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে যতক্ষণ না তুমি গোসল শেষ করবে, ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তোমার জন্য পুণ্য লিখতে থাকবে। সেই সহবাসে যদি তোমার কোনো সন্তান লাভ হয়, তবে সেই সন্তানের নিঃশ্বাস এবং তার যদি বংশধারা চালু থাকে, তবে যতকাল তা চালু থাকবে, ততকাল পর্যন্ত তাদের সবার নিঃশ্বাসের সংখ্যা পরিমাণ পুণ্য তোমার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন পশুর পিঠে চড়বে, তখন বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে তার প্রতি কদমে তোমার জন্য পুণ্য লেখা হবে। আর যখন নৌকায় চড়বে, তখনো বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে যতক্ষণ না তুমি তা থেকে নামবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার জন্য পুণ্য লেখা হতে থাকবে।

news24bd.tv নাজিম

এই রকম আরও টপিক