ই-ভ্যালির প্রতারণায় আস্থা সংকটে গোটা ই-কমার্স খাত

ই-ভ্যালির প্রতারণায় আস্থা সংকটে গোটা ই-কমার্স খাত

Other

ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার পর গ্রাহকের আস্থা সঙ্কটে গোটা ই-কমার্স খাত। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন পুরনো উদ্যোক্তা, মাঠ পর্যায়ের সেলার ও ডিস্ট্রিবিউটররা। উদ্যোক্তারা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, যারা গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব। এছাড়া ই-কমার্স নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন ও এ খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

 

বাজারমূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ইভ্যালি লাখ লাখ গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ নতুন নতুন বেশ কিছু কোম্পানি রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠে।

news24bd.tv

সম্প্রতি এজন্য আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রে ই-কমার্স খাত। বেশি দামে বিক্রির আশায় এসব কোম্পানিতে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এখন পথে বসেছেন অনেক গ্রাহক।

যার প্রভাব পড়ছে পুরনো উদ্যোক্তা ও বিক্রেতাদের ওপরও।

দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, অনেক উদ্যোক্তা সল্প পুঁজি নিয়ে অন্যদের পণ্য দিয়েছে। কিন্তু সে সেখান থেকে টাকাটা ফেরত পায়নি। সল্প পুঁজির কারণে এখন সে আর দারাজে পণ্য দিতে পারছে না।

news24bd.tv

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সময় এসেছে ই-কমার্স খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার পদক্ষেপের। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, সরকারকে এই খাতে সংস্কার আনতে হবে। নিয়ম নীতি করতে হবে। আর ভোক্তাদেরও জানতে হবে এই খাতে ঝুঁকি কোথায়।

অর্থনীতিবিদ ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলছেন, নিয়ম নীতির পাশাপাশি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের এই খাতে যুক্ত করা গেলে ঝুঁকি কমবে।

আরও পড়ুন


বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান: প্রধানমন্ত্রী

অসময়ে বাণিজ্যিকভাবে মাচায় তরমুজ চাষ, লাভের আশায় কৃষক

সৌন্দর্যে ভরা সুনামগঞ্জের সব হাওড়গুলো পর্যটকে মুখরিত

পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে ১২০০ কোটি ডলার দেবে এডিবি


ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠান এখন ১৬শ ছাড়িয়েছে। শুধু নীতিমালা ও আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ই-অরেঞ্জের গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা নিয়েছে। কিন্তু এসব টাকা ফেরত দিচ্ছে না। বহুল আলোচিত ইভ্যালিও নিয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে ১ হাজার কোটি।

news24bd.tv

ইক্যাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন শিপন জানান, ই-কর্মাসের মূল জায়গাটা হল ট্যানজেকশন। যার বেশিরভাগই হয়ে থাকে অনলাইনে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক যদি মনিটরিং করে তাহলে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।

গেল দুই মাসে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে ৬ হাজার। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নেই জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া অন্যদের বিরুদ্ধে।

news24bd.tv এসএম