বরিশালের গৌরনদী থানার ৯ বছর আগের একটি অপহরণ মামলার ভিকটিমকে (কথিত অপহৃত) ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে মামলার এক আসামি।
আসামির দাবি অপহরণ মামলা একটি সাঁজানো নাটক। তাদের হেনেস্তা করতেই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কথিত অপহৃত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাবি যারা অপহরণ করেছিল, তারাই তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেছে।
উদ্ধারকৃত রাসেল মৃধাকে আজ বুধবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আরেকটি অপহরণ মামলার আসামি হওয়ায় তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন
ছাড়পত্র পেলেন তামিম, খেলতে যাবেন নেপাল
কুয়েত ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক
স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামীর ফাঁসির আদেশ
গৌরনদীর কলাবাড়িয়া গ্রামের ১৪ বছর বয়সের কিশোর ছেলে রাসেল মৃধাকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে ২০১২ সালে গৌরনদীর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার মা মনোয়ারা বেগম। রাসেল ওই গ্রামের বাসিন্দা জালাল মৃধার ছেলে।
এর আগে থেকেই কিশোর বয়সে একটি অপহরণ মামলার আসামি ছিল রাসেল।
এ অবস্থায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ি রায়েরবাগ থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে গৌরনদী থানায় সোপর্দ করে মামলার ১ নম্বর আসামি এস. রহমান। ৯ বছর আগে কথিত অপহৃত কিশোর রাসেল এখন বয়সে যুবক এবং দুই সন্তানের পিতা।
রাসেল মৃধা এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, যারা অপহরণ করেছে তারাই তাকে উদ্ধার করে থানায় পৌঁছে দিয়েছে।
এদিকে অপহৃতের পরিবার বলেছে তাদের ২০ কাঠা জমি নিয়ে পারিবারিক স্বজনদের সাথে বিরোধ রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১২টি মামলা দায়ের করেছে। যার সব শেষটি রাসেল অপহরণ মামলা। রাসেলের স্বজনদের দাবি, অপহরনকারীরাই তার ভাইকে থানায় ফেরত দিয়েছে।
NEWS24.TV / কামরুল