কোকা-কোলা বাংলাদেশের নতুন এমডি তা জি তুং

কোকা-কোলা বাংলাদেশের নতুন এমডি তা জি তুং

অনলাইন ডেস্ক

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করলেন তা জি তুং। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি কোকা-কোলার পানীয় প্রস্তুতকারী অংশীদার প্রতিষ্ঠান, ক্রেতা ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন ।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১৫ বছর ধরে তুং কোকাকোলা সিস্টেমের সঙ্গে কাজ করছেন।

   

কোকাকোলা বাংলাদেশে যোগ দেওয়ার আগে তিনি কোকাকোলা বেভারেজেস ভিয়েতনাম লিমিটেডের মার্কেট অপারেশনস বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। ২০০৬ সালে আঞ্চলিক ট্রেড মার্কেটিং ম্যানেজার (উত্তর ভিয়েতনাম) হিসেবে কোম্পানিটিতে যোগদান করেন তুং।

পরবর্তীতে তিনি একাধিক অপারেশনস ও কমার্শিয়াল পদে দায়িত্ব পালন করেন। কোকাকোলায় যোগ দেওয়ার আগে তুং 'প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল (পিএন্ডজি 'এ কর্মরত ছিলেন।

কোকাকোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিডিপি-র অসাধারণ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে, কোকাকোলা কোম্পানি বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজারে টেকসই ব্যবসা গড়ে তোলার ওপর বরাবরের মতোই জোর দিতে চায়। এ ছাড়া, আমাদের পানীয় প্রস্তুতকারী অংশীদার প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) ও আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা একসঙ্গে বাংলাদেশের ভোক্তাদের উজ্জীবিত করতে কাজ করে যাব।

প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির দিক থেকে তুং একজন সার্জন এবং বিজনেস গ্র্যাজুয়েট। তিনি ভিয়েতনামের হ্যানয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের প্রথম ব্যাচেলর অব সার্জন ডিগ্রি অর্জন করেন।   পরে তিনি ভিয়েতনামের হ্যানয় পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং ভারতের ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

আরও পড়ুন:

অবশেষে ব্রিটেনের লাল তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বাংলাদেশ

বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত মদ পানে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু

আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, জানালেন কৃষিমন্ত্রী

ইভ্যালির সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই তাহসানের


 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব বিষয়ক গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে কোকা-কোলা সিস্টেম, বাংলাদেশে ভ্যালু অ্যাডেড ইমপ্যাক্ট হিসেবে ১২২ কোটি টাকা যোগ করেছে। ভ্যালু অ্যাডেড ইমপ্যাক্ট হলো দেশের সব পরিবার, ব্যবসা ও সরকারের ২০১৯ সালে অর্জিত আয়ের যোগফল, যা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ০.১১ শতাংশ। এই আয় দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে অবদান রাখছে। এ ছাড়া কোকাকোলা সিস্টেম দেশে প্রায় ২২ হাজার ১০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে ৮৩৩টি প্রত্যক্ষ ও ২১ হাজার ৩০০টি পরোক্ষ কর্মসংস্থান, যা বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের ০.০৩ শতাংশ।

কোকা-কোলা বাংলাদশে ব্যবসা করছে পাঁচ দশক ধরে। কোকা-কোলা, ডায়টে কোক, স্প্রাইট, ফান্টা, কিনলে পানি, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো, থামস আপ কারেন্ট এ কোম্পানিরই পণ্য।

news24bd.tv/আলী