এবার ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের পেটালো পুলিশ। বুধবার মানববন্ধন শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে চাইলে প্রথমে পুলিশের বাধার মুখে পরে আন্দোলনরত গ্রাহকরা। পরে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের।
এদিকে ইভ্যালীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেলের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে পরিকল্পনামন্ত্রীও বলছেন, এমন ঘটনায় কোনভাবেই দায় এড়াতে পারেনা সরকার।
চটকদারি বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পরে বিনিয়োগ করে এখন রাজপথে ই-ভ্যালী, ই-অরেঞ্জের হাজার হাজার গ্রাহক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন ব্যানার হাতে নিয়ে দলে দলে জড়ো হতে থাকে প্রেসক্লাব এলাকায়।
মানবন্ধন শেষে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যেতেই পুলিশি বাধার মুখে পরে তারা। এসময় পুলিশের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়ায় ভুক্তভোগীরা। পরে প্রেসক্লাব থেকে মৎস ভবনের দিকে যেতেই ঘটে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। যেখানে আহত হয় অন্তত ১০ জন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারি গ্রেফতার হয়েছে বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের।
নামধারি ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর দায় নিয়ে মঙ্গলবার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয় অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নিউজটোয়েন্টিফোরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গ্রাহকদের ক্ষতির প্রথম দায়ভারটি সরকারের।
এদিকে বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থানার প্রতারণার মামলায় সিএমএম আদালতে আনা হয় ইভ্যালীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেলকে। আদালত এসময় তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন।