সমাজকে বেশি বদলানো বা রাতারাতি বদলে দেয়ার চেষ্টা- ঠিক না

সমাজকে বেশি বদলানো বা রাতারাতি বদলে দেয়ার চেষ্টা- ঠিক না

Other

সমাজকে বেশি বদলানো বা রাতারাতি বদলে দেয়ার চেষ্টা- ঠিক না। একে গ্রহণ-বর্জনের ধারাবাহিকতার ভেতর দিয়ে organically বিকশিত বা বিলীন হয়ে যেতে দেয়াটাই ভাল।  

এদেশে ১৯৫৬ সালে জমিদারি বিলোপ করা হলেও সমাজের শরীর ও মন থেকে সামন্তবাদ ও প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্কের সুতো ছিন্ন হয়নি, গন্ধ মুছে যায়নি আজো।  

পশ্চিমা, সমাজতান্ত্রিক, উদারনৈতিক, গ্রিন, পুঁজিবাদী ইত্যাদি সমাজের মানবাধিকার, সমতা, গণইচ্ছা, নারীবাদ, সুষম বণ্টন, ভোট, স্বচ্ছতা, সুশাসন, যুদ্ধ ও শান্তির আইন, ফেয়ার ট্রায়াল, শিশু অধিকার-এসবের হাজারো হাবিজাবি তত্ত্ব এই সমাজে সরাসরি ও আকস্মিকভাবে অনুপ্রবেশ করানোটা আখেরে বরং ক্ষতিই ডেকে আনে।

 

আমরা ভুলে যাই যে, কতো হাজার যুদ্ধবিগ্রহ, কতো কোটি মানুষের প্রাণ, সম্পদের কী ভীষণ অপচয়, ঔপনিবেশিক শোষণ, জাতিগত নির্মূলাভিযান আর চরম লুঠতরাজের পরই ওসব অর্জন করেছে পশ্চিমারা।  

শোষণ-লুণ্ঠনের মাধ্যমে অর্জিত উন্নতি ও প্রাযুক্তিক ঔৎকর্ষের পাটাতনে দাঁড়িয়েও সেই পশ্চিমাদের এখনও নিজেদের জনগণকে এসব সুখশান্তির নিশ্চয়তা দিতে কতো হিমশিম খেতে হয়! 

কৃত্রিমভাবে এসব কথিত "ভাল-ভাল" জিনিস সমাজে-রাষ্ট্রে ঢোকানোর ফল ব্যাকফায়ার করে।

লেখাটি মিল্লাত হোসেন-এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ( লেখাটির আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

)

মিল্লাত হোসেন, বিচারক

news24bd.tv/আলী