রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু মধ্যরাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মায়ের কথায় সে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পরে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
ইমরুল কায়েসের গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাবা শহীদুল্লাহ ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
তার এক সহপাঠী জানায়, কিছু দিন আগে মায়ের কাছে মোটরসাইকেল কিনতে চেয়েছিল। মোটরসাইকেলও কিনে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার আগে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে চায়। কিন্তু মধ্যরাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপর সে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পরে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:
অবশেষে ব্রিটেনের লাল তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বাংলাদেশ
বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত মদ পানে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু
আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, জানালেন কৃষিমন্ত্রী
ইভ্যালির সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই তাহসানের
ফেসবুকে ইমরুলের টাইমলাইনে কয়েক দিন ধরে হতাশা আর আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছিল। ব্যর্থতা আত্মহত্যার মূল এবং পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করছিলেন। সেই ছবিতেও হতাশামূলক ক্যাপশন দিতে দেখা গেছে।
news24bd.tv/আলী