যানজট নিরসনের উদ্যোগ আটকে থাকে মহাপরিকল্পনার নথিতেই

Other

অবৈধ দখলে রাজধানীর ৫৭২ কিলোমিটার সড়ক ও ১০৮ কিলোমিটার ফুটপাত। এই তথ্য সিটি কর্পোরেশনের। এমন অবস্থার মধ্যেও পার্কিং সংকট, সড়কজুড়ে বিধি লংঘনের ছড়াছড়িতে যান আর জনজটে নাকাল ঢাকা। সড়কে আছে বাস থেকে ঘোড়ার গাড়ি সবই।

সমাধান কোথায়? 

ঢাকায় বাস করা স্থায়ী মানুষের সাথে প্রতিদিনই গড়ে যুক্ত হচ্ছে ১৭শ মানুষ। ২০১৬ এর পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবেই এই মেগা শহরের বাসিন্দা এখন ১ কোটি ৭০ লাখ।

কাজের তাগিদে বের হলেই এই শহরে, বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন প্রায়শই থমকে যান রাস্তা, ফুটপাত অথবা গাড়িতে। যান কিংবা জনজটে স্থবির হয়ে পড়ে তাদের কর্মঘণ্টা।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক খসড়া জরিপে প্রতিদিন যাতায়াতের ট্রিপ সাড়ে ৩ কোটি। এরমধ্যে ১৭.৭ শতাংশ পথচারী। বাকিরা যাতায়াত করেন কোনো না কেনো যানবাহনে।  

সিটি কর্পোরেশনের তথ্য হচ্ছে নগরীর ১৬৩ কিলোমিটার ফুটপাতের ১০৮ কিলোমিটারই অবৈধ দখলে। দখলে আছে মোট ২ হাজার ২৮৯ কিলোমিটারে সড়কের ৫৭২ কিলোমিটারই।

নগরীর ২১০ কিলোমিটার প্রধান সড়কে পার্কিং ব্যবস্থা খুবই নগণ্য। এরমধ্যেও ৩০ ভাগ প্রধান সড়কে রয়েছে অবৈধ পার্কিং ও হকারদের আধিপত্য।

বেশকিছু সড়কে বাস-প্রাইভেট কারের সঙ্গে ধীরগতির রিক্সা, ঠেলাগাড়ি এমনকি ঘোড়ার গাড়িরও দেখা মেলে। আগেই যেতে হবে, তাই ফুটওভারব্রীজ রেখেও আইন ভাঙছেন পথচারী।

যানজট নিরসনে যুগের পর যুগ উদ্যোগ আসে যায়, কার্যকরের অভাবে সেগুলো আটকে থাকে মহাপরিকল্পনার নথিতেই। তবে এরইমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা ও শহরকে বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে স্বস্তি ফিরবে নগরজীবনে।

news24bd.tv নাজিম