দিশেহারা ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা

Other

দিশেহারা এখন ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা। টাকা উদ্ধারে মরিয়া গ্রাহকরা আন্দোলন সংগ্রামও করছেন নিয়মিত।  

কিভাবে টাকা পাওয়া যাবে সেই প্রশ্নই আসছে ঘুরেফিরে। তবে ইতিহাস বলছে, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে অর্থ ফিরে পাওয়ার নজির নেই।

ইভালি, ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও কি ঘটবে তারই পুনরাবৃত্তি?

চলতি শতাব্দির শুরুর দিকের কথা, যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি বা যুবক নামের প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহককে অতি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। ২০০৫ সালের দিকে তাদের কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমে লিখা ‍শুরু হলে তদন্তে নামে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।  

২০০৭ সালে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশনাও আসে। তবে ১৪ বছরেও ৩ লাখ ৪ হাজার গ্রাহক তাদের পাওণা ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ফেরত পায়নি।

যদিও যুবকের কেনা জমির মূল্য বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।  

একসময় পল্টন, কাকরাইল এলাকায় সরব ছিল ডেসটিনির গ্রাহকদের উপস্থিতিতে। ২০১২ সালে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ও পাচারের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় তারা রয়েছেন কারাগারে। তবে এখন পর্যন্ত কোন টাকা ফেরত পায়নি গ্রাহকরা।  

১০ মাসে স্বর্ণের ব্যবসা করে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করে দেয়ার প্রলোভন নিয়ে গ্রাহকের ৬ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ইউনিপে টু ইউ। প্রতারণার অভিযোগে তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৪২০ কোটি টাকা। উচ্চ আদালতের রায়ের পরও এক টাকাও ফেরত পায়নি গ্রাহকরা।

আরও পড়ুন:


ডিসেম্বরেই চালু হবে ৫জি নেটওয়ার্ক: মোস্তাফা জব্বার

দেশে বিনিয়োগ করুন: প্রধানমন্ত্রী

যানজট নিরসনের উদ্যোগ আটকে থাকে মহাপরিকল্পনার নথিতেই

মক্কা-মদিনার মসজিদে কাজ করবেন নারীরা


প্রতারণার আধুনিকতম ভার্সন এই ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ। তাদের টাকা ফেরত পেতে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে গ্রাহকরা। যদিও অ্যার্টনি জেনারেল বলছেন, প্রচলিত আইনে গ্রাহকের অর্থ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

তবে সরকারের উচ্চ মহলের আন্তরিকতা থাকলে আংশিক হলেও গ্রাহকদের বিনিয়োগ ফিরেয়ে দেয়া সম্ভব বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

news24bd.tv নাজিম