দিনে দুপুরে ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে মাদ্রাসার সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে নিজ বাড়িতে একাধিকবার ধর্ষণ করে মো. মিজান (রাসেল) নামে এক যুবক।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় গেলে মিজান খবর দিয়ে ছাত্রীকে মাদ্রাসার ফটকের সামনে নিয়ে আসে। পরে নানাভাবে ফুসলিয়ে সেখান থেকে অপহরণ করে ছাত্রীকে হাজীগঞ্জের পালাখাল এলাকায় তার (মিজান) বাসায় নিয়ে যায়। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীকে সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রীর ভাবির মোবাইলের মাধ্যমে ছাত্রীর সঙ্গে মিজানের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যায়। মিজান খবর দিয়ে ছাত্রীকে মাদ্রাসার ফটকের সামনে নিয়ে আসে। পরে নানাভাবে ফুসলিয়ে সেখান থেকে অপহরণ করে ছাত্রীকে হাজীগঞ্জের পালাখাল এলাকায় তার (মিজান) বাসায় নিয়ে যায়।
এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীকে সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ১২ সেপ্টেম্বর পরিবারের লোকজন ছাত্রীর অবস্থানের কথা জানতে পারে। ওই দিন ছাত্রীর মা তার মেয়েকে আনার জন্য পালাখাল এলাকায় ওই যুবকের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে মেয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে মিজান। অনেক কৌশল করে সেখান থেকে গত শুক্রবার দুপুরে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তার মা।
আরও পড়ুন:
অবশেষে ব্রিটেনের লাল তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বাংলাদেশ
বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত মদ পানে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু
আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, জানালেন কৃষিমন্ত্রী
ইভ্যালির সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই তাহসানের
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর এলাকা থেকে মো. মিজানকে (রাসেল) গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মিজান জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষীয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। সে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পালাখাল এলাকায় একটি গ্যারেজে শ্রমিকের কাজ করে।
পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা ১১টায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই যুবককে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
news24bd.tv/আলী