জব্দ করা সাপের বিষেও ভেজাল!

জব্দ করা সাপের বিষেও ভেজাল!

অনলাইন ডেস্ক

পুলিশের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি গত বছর ২৫শে নভেম্বর গাজীপুর থেকে প্রায় নয় কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষসহ দুইজনকে আটক করেছে বলে জানায়। এরপর সাপের বিষ নামে যে পদার্থ সিআইডি জব্দ করে সেটা আদৌ সাপের বিষ কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আদালতের নির্দেশ দেয়।

একই সাথে ঢাকার দক্ষিণখান থেকে জব্দ করা সাপের বিষের নমুনা পরীক্ষা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির অধ্যাপক মোঃ আবু রেজা।

আবু রেজা বলেন, "দু্টি স্থান থেকে সাপের বিষের যে ২০টা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এর একটিতেও সাপের বিষ নেই।

আমরা কোবরা ভেনমের যে প্রোফাইল পাই, এটাতে তার কিছুই নেই। একদম বেজলাইনের কাছাকাছি। সব ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে আমরা একটা রিপোর্ট দিয়েছি যে এটা কোন ভাবেই সাপের বিষ হতে পারে না। আমরা বরং যেটা পেয়েছি, সেটা হল আটা বা ময়দা, সার্ফ এক্সেল,সাগু দানা, কোমল পানীয় এমন নিত্য ব্যবহার্য জিনিস।
"

তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ সাপের বিষ পুলিশ জব্দ করেছে বলে দাবি করে সেটা সাপের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগবে।

গাজীপুরে সাপের বিষের মামলার সিআইডির তদন্তকারী কর্মকতা প্রবীর কুমার ঘোষ বলছেন, যারা আটক আছে তাদের বিরুদ্ধে এখন প্রতারণার অভিযোগ আনা হবে।

রও পড়ুন:

সব ফোনের একই চার্জার তৈরির প্রস্তাব, অ্যাপলের আপত্তি

বিয়ের আগেই পাত্রের মাকে নিয়ে পালিয়ে গেল পাত্রীর বাবা!

শরীর আর আগের মতো ছিলো না, বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে রোশান

বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব'


তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন পরীক্ষা ছাড়াই সাপের বিষ জব্দ করেছেন, এমন খবর গণমাধ্যমে কেন প্রচার করা হয় এমন প্রশ্নে বিবিসি বাংলাকে প্রবীর কুমার ঘোষ বলছেন, তাদের কাছে যেভাবে জারগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা দেখে সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝার উপায় নেই যে এটা সাপের বিষ না।

news24bd.tv/ নকিব