দিনের এবং রাতের পায়রা সেতুর আলাদা দৃশ্য। দিনে দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলী এবং রাতে নৈসর্গিক দৃশ্য। সাথেই শেষ বিকেলে গাছের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক আর পানকৌঁড়ির ছোটাছুটি। আরও আছে সংলগ্ন শেখ হাসিনা সেনা নিবাস।
বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের ২৬তম কিলোমিটারে লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর ১ হাজার ১শ’ ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পায়রা সেতু এখনও উদ্বোধন হয়নি। জাতিসংঘের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে যে কোন সময় সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
সেতুর দক্ষিণ-পূর্ব পাশের বাগানে শেষ বিকেলে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক আর পানকৌঁড়ির ছোটাছুটি নজর কারবে যে কারোর। সাথে আছে দেশের অন্যতম বৃহৎ আয়তনের শেখ হাসিনা সেনা নিবাস। রাতের সেনা নিবাস রুপ ধারণ করে এক আলোক ঝলমল শহরের। পায়রা নদী থেকে জেলেদের আহরিত তাঁজা ইলিশ কেনার সুযোগও আছে পর্যটকদের। এগুলো আকর্ষণ করেছে প্রকৃতি প্রেমীদের। সেতু এবং সেনা নিবাস ঘিরে এই এলাকায় পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন
শাজাহান খানের কাছ থেকে মুক্তি চাইলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ
প্রেম করে বিয়ে: যুবককে বেঁধে নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১ কেজি সোনাসহ যাত্রী আটক
পর্যটকের কথা চিন্তা করেই লেবুখালীতে নান্দনিক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল। তিনি বলেন, দিনের এবং রাতের পায়রা সেতু পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করবে। যা এই অঞ্চলের পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
এদিকে পায়রা সেতু এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
লেবুখালীর পর্যটন ঘিরে নদীর দুই তীরে গড়ে উঠছে নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে পর্যটক ধরে রাখতে এখনই নদীর দুই তীরে আধুনিক মানের রেস্তোরা সময়ের দাবি বলে মনে করেন তারা।
news24bd.tv এসএম