জাপার ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

জাপার ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলা বাতিলে রায় প্রত্যাহার সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ফিরোজ রশীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ৬ সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের প্রত্যাহার আদেশ স্থগিত করেন।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এবং অন্যদিকে কাজী ফিরোজ রশীদের পক্ষে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক জুলফিকার আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৫১ সালে তৎকালীন কানাডার হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলীর অনুকূলে এক বিঘা জমি বাড়িসহ বরাদ্দ দেয় সরকার, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা। মোহাম্মদ আলী মারা যাওয়ার পর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, পুত্র সৈয়দ মাহমুদ আলী ও কন্যা সৈয়দা মাহমুদা আলীর নামে প্রথম স্ত্রী ও তার দুই পুত্র দলিল করে দেন, যার নামজারি হয় ১৯৭০ সালে।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ১৯৭৯ সালে কাজী ফিরোজ রশিদ বিক্রয় চুক্তির ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ভুয়া দাতা বেগম আলেয়া মোহাম্মদ আলী ও আরিফুর রহমান নামের একজনকে সাক্ষী বানিয়ে ওই জমি নিজের নামে দলিল করে দখলে নেন। পরবর্তীতে দুদক অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালে মামলা করে।

মামলায় কাজী ফিরোজ রশিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন


মাওলানা মামুনুল হককে নেয়া হয়েছে কুমিল্লার আদালতে

নির্মাণশৈলী ও রাতে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে পায়রা সেতুতে পর্যটকদের ভিড়

বিশ্ব নদী দিবস আজ

শাজাহান খানের কাছ থেকে মুক্তি চাইলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ


দুদকের করা মামলার এখিতয়ার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে কাজী ফিরোজ রশিদ আবেদন করলে আদালত রুল জারি করেন। পরবর্তীতে ওই রুল গ্রহণ করে দুদকের মামলা এখতিয়ারবহির্ভুত ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে রায়ের পর দুদক ওই মামলায় চার্জশিট দেয়। এতে দুদকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন ফিরোজ রশিদ। অপরদিকে দুদক ওই রায় প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে।

হাইকোর্ট দুদকের আবেদন শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করতে বলেন। এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি রায় প্রদানকারী বেঞ্চে পাঠান। হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ বিষয়টি শুনানি করে রায় প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের ওই প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন কাজী ফিরোজ রশিদ। মোহাম্মদ আলীর জন্ম বগুড়া জেলায়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে বগুড়াতেই মারা যান।

news24bd.tv এসএম