মেঘনার ভাঙনে নিঃস্ব ৫০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন লক্ষ্মীপুরে। গৃহহীন হয়ে এখন ঝুপড়িতে বাস করছে পরিবারগুলো। যে বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন সেটিও বিধ্বস্ত। সরকারি-বেসরকারি যে সাহায্য তারা পাচ্ছেন তাতে বেঁচে থাকাও কষ্টকর।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাট ও চর লরেন্সের এই এলাকায় এখন নদী দেখা গেলেও, একসময় শত শত মানুষের বসবাস ছিলো। ছিলো বাড়ি আর কৃষি জমি। প্রায় তিন দশক ধরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙন সব কেড়ে নিয়েছে।
বেসরকারি হিসেব বলছে, লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ ভাঙ্গনের ভয়াবহতার শিকার।
জীবিকার জন্য গবাদিপশু পালন ছাড়া তেমন কোনো উপায় নেই এদের। তবে বর্তমান আশ্রয়টুকুও শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, যে বেড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, সেটির অবস্থাও ভালো নয়।
আরও পড়ুন:
বিমানবন্দরে শুরু আরটি-পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম
নির্মাণশৈলী ও রাতে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে পায়রা সেতুতে পর্যটকদের ভিড়
কাল লাখ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বন্ধ হয়ে যাবে!
জাপার ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
লক্ষ্মীপুরে মেঘনার তীর রক্ষায় বড় প্রকল্পের অনুমোদন রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সেটি বাস্তবায়ন হলে ভাঙন কমে যাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেঘনার ভাঙন ধীর গতির হওয়ায়, ভাঙন রোধে তিন দশকেও লক্ষ্মীপুরে কোনো উদ্যোগ নেননি জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি দপ্তরগুলো।
news24bd.tv নাজিম