গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, সালিসে 'বিচার' হলো নারীর হাত ধরে ক্ষমা চাওয়া!

গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, সালিসে 'বিচার' হলো নারীর হাত ধরে ক্ষমা চাওয়া!

অনলাইন ডেস্ক

গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এর বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিস বসানো হয়। এ সময় অভিযুক্তকে ভুক্তভোগী গৃহবধূর হাত ধরে ক্ষমা চাইতে হবে বলে ‘রায়’ দেন গ্রাম্য মাতবররা, কিন্তু গৃহবধূ তা মেনে নেননি।

 

এরপর থেকে সালিসের ‘রায়’ মেনে নিতে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের মিঠাপুকুরের জারুল্লাহবাদ (ইটখোলা) গ্রামে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী বিভিন্ন জেলায় দিনমজুরি করেন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে একই গ্রামের মোক্তার হোসেন তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে শুয়ে পড়েন গৃহবধূ। মাঝরাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান।  

এ সুযোগে মোক্তার গৃহবধূর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে গৃহবধূ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর মোক্তার খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে মোক্তার পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন


আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে: ওবায়দুল কাদের

এবার মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, আসন প্রতি লড়বেন ৪৫ জন

দিনাজপু‌রে বা‌সের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত


বিষয়টি জেনে গৃহবধূর স্বামী কুমিল্লা থেকে বাড়িতে চলে আসেন। এরপর থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী, কিন্তু মীমাংসার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে একই গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়ির উঠানে সালিস বসানো হয়।  

এ সময় গ্রাম্য মাতবররা মোক্তারকে গৃহবধূর হাত ধরে ক্ষমা চাইতে হবে বলে ‘রায়’ দেন, কিন্তু গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী তা মেনে নেননি। তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। এতে মোক্তার পক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকিও দেয়।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, ‘কয়েক দিন আগে থানায় যোগদান করেছি। এ ঘটনা আমার যোগদানের আগের। তাই কিছু বলতে পারছি না। তবে তাঁরা যদি আমার কাছে আসেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ’

news24bd.tv/ কামরুল