বাসে সিটিং ভাড়া দিয়েও ২৮ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত

বাসে সিটিং ভাড়া দিয়েও ২৮ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত

বাসে সিটিং ভাড়া দিয়েও ২৮ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রাজধানীতে বেসরকারি বাস সবগুলোই এখন রাতারাতি সিটিং সার্ভিস নাম লিখিয়েছে। সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে এখন ৯৬ শতাংশ বাস চলছে। ৯২ শতাংশ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হন। ৯৮ শতাংশ যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের শিকার হন।

৬২ শতাংশ যাত্রী চলন্তবাসে উঠানামা করতে বাধ্য হন। সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ২৮ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির ৫টি টিম গেলো ৬ দিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পর্যবেক্ষণ করে। পরে শনিবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেন।

 

জরিপটি ৫৫৭ জন বাসযাত্রী, ১৮৫ জন অটোরিকশার যাত্রী ও ৫৬ জন ট্যাক্সি ক্যাব যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে করা হয়।

জরিপে বলা হয়, নগরীর মাঝপথের যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এসব বাসগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এতে করে রমজানে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

আরও বলা হয়, হয়রানীর শিকার হলেও অভিযোগ কোথায় করতে হয় জানে না ৯৩ শতাংশ যাত্রী তবে ৮৮ শতাংশ যাত্রী মনে করেন অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ করেন না। যাত্রী ভোগান্তির এহেন চিত্র জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ গুরুত্ব পেলেও এইসব ভোগান্তি নিরসনে মালিক সমিতি বা সংশ্লিষ্ট কোনো সরকারি ও বেসরকারি কর্তৃপক্ষের তৎপরতা এ সময়ে লক্ষ্য করা যায়নি।

পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নগরীতে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশার ৯৪ শতাংশ চুক্তিতে চলাচল করছে। ৯৮ শতাংশ অটোরিকশা মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া বা বকশিস দাবী করছে। আগে ১০ টাকা বকশিস চাইলেও রমজানে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বকশিস দাবী করা হচ্ছে। যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হয় না ৯০ শতাংশ অটোরিকশা। অনেকটা কাকতালীয় ভাবে ড্রাইভারের পছন্দের গন্তব্যে মিলে গেলে রাজি হয় যাত্রীর গন্তব্যে যেতে।  

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর