থানা পুলিশ যে কাজ ২১ মাসে পারলো না পিবিআই সে কাজ করলো ২৬ দিনে

থানা পুলিশ যে কাজ ২১ মাসে পারলো না পিবিআই সে কাজ করলো ২৬ দিনে

অনলাইন ডেস্ক

প্রবাসী রায়হানুল ইসলাম ওরফে সজীব (২৭) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামরি আবদুর রহমান ওরফে লাল (২৪) পলাতক থাকায় দীর্ঘ ২১ মাস গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।

সেই হত্যা মামলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লাল’কে পলাতক দেখিয়ে ৬ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় থানা পুলিশ। কিন্তু আদালত  সেই চার্জশিট গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের  নির্দেশ দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। আদালতের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে তদন্তের মাত্র ২৬ দিনের মাথায় দীর্ঘ ২১ মাস পলাতক থাকা আসামি লালকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

  শুক্রবার (০১ অক্টোবর) সজীব হত্যা মামলায় গ্রেফতার  হওয়া অন্যতম আসামি লালকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার  অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কর্ণফুলী উপজেলার ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির পাশে মৌলভীবাজার এলাকা থেকে লাল’কে গ্রেফতার  করে পিবিআই। কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ৩ নম্বর ওয়ার্ড সিডিএ টেক এলাকার বাসিন্দা অলি আহমেদের ছেলে লাল।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি কর্ণফুলী উপজেলা থেকে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে দুবাই প্রবাসী সজীবকে কৌশলে  সুমী নামে এক নারীর মাধ্যমে অপহরণ করেন আসামিরা। এরপর তার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

অপরহণের সময়ে সজীব যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য আসামিরা তার গলায় মাফলার পেঁচিয়ে রাখে। একপর্যায়ে সজীব মুক্তিপণ দেবে স্বীকার করলে তার গলার মাফলার একটু খুলে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে সজীব বাঁচার জন্য চিৎকার দেয়। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সজীবের মরদেহ কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকায় ফেলে চলে যায়। পরদিন ১৮ জানুয়ারি উপজেলার শিকলবাহা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আতাউর রহমান ওই দিনই বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে গত ২২ জুন কর্ণফুলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রূপক কান্তি দাশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তিনি হত্যাকাণ্ডে মোট আটজন জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ার কথা জানান। কিন্তু এদের মধ্যে দুই আসামির নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় তাদেরকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে অভিযোগপত্রে এক আসামিকে পলাতক উল্লেখ করে মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন


দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা, দুই আসামির ফাঁসি সোমবার

প্রবাসীর সঙ্গে ইমোতে প্রেমের সম্পর্ক, দেশে ফিরেই ধর্ষণ!

নিজের শারীরিক জটিলতা নিয়ে মুখ খুললেন তামান্না

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ঘটকালি, পেশা হিসেবে নিচ্ছেন অনেকেই


আদালতের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ইউনিটটির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহেদুজ্জামান চৌধুরীকে তদন্তভার দেন৷  পিবিআই কর্মকর্তা জাহেদুজ্জামান গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে গত বৃহস্পতিবার পলাতক আসামি লাল’কে গ্রেফতার করা হয়।

news24bd.tv/আলী