জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর জানাজার সময় ও স্থান

জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর জানাজার সময় ও স্থান

অনলাইন ডেস্ক

দলের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব, সা‌বেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সা‌বেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর জানাজার সময় ও স্থানের বিষয়ে তথ্য জানানো হয়েছে।

জাপা সূত্রে জানা গেছে, বাবলুর জানাজার নামাজ আজই বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে তার মরদেহ।

আজ শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টায় রাজধানীর শ্যামলীর বাংলা‌দেশ স্পেশালাইজড হাসপাতা‌লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী বাবলুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে একবার লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়েছিল।  

সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তারা জিয়াউদ্দিন বাবলুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া বাবলু দ্বিতীয় দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য বাবলু এইচ এম এরশাদের সরকারে উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

জাসদ-বাসদ নেতা বাবলু গত শতকের ৮০ এর দশকের শুরুতে ডাকসুর জিএস থাকা অবস্থায় সামরিক শাসক এরশাদের দলে যোগ দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন


মিয়ানমারে ফেরত যেতে চাওয়ায় মুহিবুল্লাহকে হত্যা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনা প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা

কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার অনুসারীসহ গ্রেফতার ৫

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু আর নেই


তাকে প্রথমে উপদেষ্টা করেছিলেন সামরিক আইন প্রশাসক এরশাদ। পরে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। এরপর বাবলুকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী করা হয়েছিল।

১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবলু। পরে ২০১৪ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন। এরশাদের জীবদ্দশায় ২০১৪ থেকে দুই বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন বাবলু। ২০২০ সালে আবার সেই দায়িত্বে ফিরেছিলেন তিনি।

২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল জাতীয় পার্টির প্রায়ত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগ্নি মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পাকে বিয়ে করেছিলেন বাবলু। তার প্রথম স্ত্রী অধ্যাপক ফরিদা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। বাবলু-ফরিদা দম্পতির ১ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।

news24bd.tv এসএম