বছর দশেক আগে উপজেলা হেলথ কম্পলেক্সে এক রোগী এসেছিলো বুকে ব্যথা নিয়ে। ব্যথার তীব্রতা, বমি, অস্থিরতা দেখে সন্দেহ হওয়ায় পাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি করিয়ে এনেছিলাম।
পরিষ্কার হার্ট এটাক। রেফার করলাম জেলা সদর হাসপাতালে।
দেখি যাওয়ার নাম গন্ধ নাই। একজন বলল সিএনজি আনতে যাইতেছি। কিছুক্ষণ পর তারও হদিস নাই। ইমারজেন্সিতেই আবার বমি করল।
আমি এস্পিরিন খাওয়ালাম। নাইট্রোগ্লিসারিন দিলাম। বমির ইঞ্জেকশন দিলাম। স্যালাইন চালু করলাম। এসিডিটির ওষুধ দিলাম। ব্যথা কমছেনা। পুরো উপজেলা খুঁজে এক জায়গা থেকে রোগীর লোককে পাঠিয়ে প্যাথেডিন ইঞ্জেকশন আনালাম। তারপর সেটাও দিলাম। প্যাথেডিন নেবার পর রোগী আরামে ঘুমিয়ে গেল। এরপর সদরে যাওয়া দূরের কথা, গটগট করে বাড়ি চলে গেল।
পাঁচ বছর পর সেই রোগীর লোক কোথাও থেকে আমার নাম্বার খুঁজে নিয়ে ফোন করলো। বিস্তারিত পরিচয় দিল। তারপর বলল" স্যার আব্বার শরীলডা বেশি খারাপ। আপনারে দেখাইতে চাই। গত পাঁচ বছর মোটামুটি ভালই ছিল। শরীলডা মাঝে মইদ্দে খারাপ হইলে আপনের ঐ ইঞ্জেকশনটা দিতাম। কিন্তু অহন আর কাজ হইতেছেনা৷ "
আমি আঁতকে উঠলাম। গত পাঁঁচ বছর ধরে মাঝে মাঝেই প্যাথেডিন দিতেন!!!
জি স্যার, শরীলডা মাঝে মইদ্যে বেদিশা লাগলে ইঞ্জেকশনটা দিতাম। চাংগা হইত।
লেখাটি গুলজার হোসাইন উজ্জ্বল-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv নাজিম