ক্ষমতায় থাকতে ১২শ’ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন জিয়া: হানিফ

ক্ষমতায় থাকতে ১২শ’ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন জিয়া: হানিফ

অনলাইন ডেস্ক

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

তিনি বলেছেন, ‘অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের পর ১২শ’ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন জিয়া। এরপর তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন। ’

রোববার (৩ অক্টোবর) চাঁদপুর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন


গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে আ.লীগের শোকজ

কুষ্টিয়ার খোকসায় প্রতিমা ভাঙচুর

আদালত চত্ত্বরে বোমা হামলা: বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড, জাবেদের যাবজ্জীবন

মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা


হানিফ বলেন, ‘১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই হয়। সেটা ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দরে আসে। সেই বিমান ছিনতাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক ছিল না, তা জাপানের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল। অথচ এটাকে পুঁজি করে সেই সময়ের স্বৈরশাসক তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সামরিক যেসব অফিসার ছিল—সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনী—তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায় ১২শ’ সামরিক কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল।

এটা গণহত্যার শামিল। আমরা মনে করি, ওই সময় যেসব সেনা কর্মকর্তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল, তাদের স্বজনরা যে বিচার দাবি করেছেন তা যৌক্তিক। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত। ’

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা বা থাকার কোনও রিপোর্ট আওয়ামী লীগের নেই। বরাবরই এই অভ্যাসটি বিএনপির ছিল। বন্দুকের নল দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান দল গঠন করেছিলেন। বিএনপি কখনও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা ছাড়েনি। ’

হানিফ বলেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভা এবং বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে সংগঠন আরও শক্তিশালী হওয়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেলো। এটা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ভালো ঝাঁকি দিয়েছে। তারা উজ্জীবিত হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

news24bd.tv/ তৌহিদ 

সম্পর্কিত খবর