পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করেই কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাত্র ১ সপ্তাহ আগেও যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে তা এখন বাজার ভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি ও সরবরাহে কোনো জটিলতা নেই, তারপরও কেন বেড়েছে এই নিত্যপণ্যের দাম-তার সুনির্দিষ্ট উত্তরে নেই কারো কাছেই। অথচ বাড়তি দামের খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তাকে।
দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সবশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদিত পেঁয়াজের ২৫ শতাংশ পচে যাওয়ায় নীট উৎপাদন ১৯ লাখ মেট্রিক টনের কিছু বেশি। অর্থাৎ বাড়তি চাহিদার মাত্র ৫ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন আমদানি নির্ভর হলেও তা নিয়েই বাজারে চলে নানা কারসাজি।
আরও পড়ুন
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে আ.লীগের শোকজ
কুষ্টিয়ার খোকসায় প্রতিমা ভাঙচুর
আদালত চত্ত্বরে বোমা হামলা: বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড, জাবেদের যাবজ্জীবন
মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
এই যেমন মাত্র ১ সপ্তাহ আগেও যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায় তা এখন বাজারভেদে ৫৫ টাকাও গুণতে হচ্ছে ভোক্তাকে। অথচ আমদানি রয়েছে স্বাভাবিক গতিতেই।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের সিংহভাগ আমদানি করা হয়। গত এক সপ্তাহে এ বন্দরের আমদানি কার্যক্রম ছিল একই রকম। তবু কেন এমন লাগামছাড়া দর বৃদ্ধি তার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশকিছুদিন পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হলেও সরকারের নজরদারি না থাকায়, এখন সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জেও পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমূখী।
পাইকাররা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় সরবরাহ কিছুটা কম।
একই ছবি দক্ষিণের জেলা যশোরেও। করোনাকালে যখন আয়ের সুযোগ সীমিত তখন উল্টো নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে নাকাল সাধারণ মানুষ।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব বলছে, ব্যবসায়ীরা কারসাজি করেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে। এজন্য প্রয়োজন জোরাল তদারকি।
কেবল পেঁয়াজ নয়, করোনাকালে মানুষের আয় কমলেও, তেল, ডিম, ব্রয়লার মুরগী, শাকসবজিসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দামই এখন চড়া। ফলে বিপাকে সাধারণ ভোক্তারা।
news24bd.tv/ তৌহিদ