বামপন্থীরা ঐতিহাসিক বস্তুবাদ বলে যেই পদ্ধতি দিয়ে ইতিহাসকে ব্যখ্যা করতে বলেন সেটা মূলত ইবনে খলদুনের ইতিহাস দর্শনের পদ্ধতি। সূক্ষ্মভাবে বিচার করলে হেগেলের ফেনোমেনোলজি আর মার্ক্সের বস্তুবাদ তৈরিই হতোনা যদি না ইবনে খলদুন আল মুকাদ্দিমা লিখতেন।
আজকের দিনে আধুনিক ইতিহাস চর্চা যেভাবে হয় তা ইবনে খলদুনের তৈরি করা। আগ্রহীরা আল মুকাদ্দিমা পড়ে দেখতে পারেন।
আমার মতে কারো যদি বিশটা বই পড়ার লিস্ট করতে হয় তার মধ্যে ‘আল মুকাদ্দিমা’ থাকবে।আরও পড়ুন
আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের দেওয়ালে পানি দিতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যু
২১ জনের মৃত্যুর দিনে বাড়ল শনাক্ত
৫ দিনের রিমান্ডে কনক সারোয়ারের বোন
‘নোবেল অসুস্থ, মাদক ও নারীতে আসক্ত’, বললেন স্ত্রী
এখানে উল্লেখ্য আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও অর্থনীতির জনকদের মধ্যে তিনি অন্যতম বিবেচিত হন।
ইবনে খলদুন বলেছেন, ইতিহাসের দুইটা ধারা; জাহেরি আর বাতেনি। জাহেরি ইতিহাস হচ্ছে- সেটাই যা আদতে গালগল্প, ক্ষমতার পক্ষে থেকে ইতিহাসের আন কৃটিক্যাল উপস্থাপন।
কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা কেন ঘটলো তার কার্যকারণ ব্যখ্যা করা, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারণগুলোর সাপেক্ষে ঐতিহাসিক ঘটনার ব্যখ্যা করার মুরোদই হচ্ছে- বাতেনি ইতিহাস চর্চা।
আমাদের দেশে যদিও আমরা মূলত জাহেরি ইতিহাসের চর্চাই করি।
( লেখাটির আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv/ তৌহিদ