একজন নারী উবারে গাড়ী চালাচ্ছেন এই দৃশ্য সৌদি আরবে এখন আর নতুন কিছু নয়। গত একবছরে দেশটিতে নারী উবার চালকের সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ বেড়েছে। আরব নিউজ এই খবর দিয়েছে।
নারীদের অংশগ্রহন বাড়াতে একটি নীতি সেখানে বেশ ভালোভাবে কাজ করছে।
নীতিটি হলো, চালাবে নারী, চড়বেও নারী। অর্থাৎ নারীচালক উবারে গাড়ী চালাবেন আর সেই গাড়ীর যাত্রীও হবেন নারী। এতেই নারীদের আরামে গন্তব্যে যেতে উবারের চাহিদা বেড়েছে।সৌদি আরব যে সব পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, এই ঘটনাকে তারই একটি উদাহরণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকরা।
আমাদের দেশে এমন কোনো নীতি নেই। দুয়েকজন নারী বাইক চালক বেশ কিছু দিন আলোচনায় ছিলেন। কোনো কোনো পরিবারের নারী সদস্য নিজের গাড়ী নিজেই চালান। তাদেরকে স্মার্ট লাগে বলে রাস্তায় অনেকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
যাহোক, বাংলাদেশে কাজ করে এমন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কিছু বেসরকারি সংস্থায় নারীরা গাড়ী চালক হিসেবে কাজ করেন বলে জানি, তবে উবারে কাউকে চালাতে দেখিনি। যদি এদেশেও গাড়ীর এমন একটা সার্ভিস চালু করা যায়, যেখানে নারীরা চালক হবেন, যাত্রীও নারী হবেন, তবে তা মন্দ হবে না।
আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইপিএল নিয়ে জুয়া, ৩ জনের সাজা
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বোমা হামলা মামলার রায় আজ
টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে আদালতে ট্রাম্প
যুবলীগ নেতার সঙ্গে ভিডিও ফাঁস! মামলা তুলে নিতে নারীকে হুমকি
এদেশে নারীদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিসের চাহিদা অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে। বাসের চালকদের সহকারীর আচরণ এই চাহিদা তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আপনারা তা জানেন, এই নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না।
যাহোক, লং স্টোরি শর্ট করি, সড়ক নারীর জন্যে নিরাপদ হলে অর্থনীতির চাকা ঘুরে বেশ জোরে।
লেখাটি আনোয়ার সাদী-এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
আনোয়ার সাদী, সিনিয়র নিউজ এডিটর, নিউজটোয়েন্টিফোর।
news24bd.tv/আলী