সারাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আরও ১২

প্রতীকী ছবি

সারাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আরও ১২

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সারাদেশে র‍্যাব ও পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গত কয়েক দিনের মতো রোববারও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং দুদলের মধ্যে গোলাগুলিতে ১২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজধানীর মিরপুরে একজন, কুমিল্লায় দুজন, পিরোজপুরে দুজন, চাঁদপুরের একজন, পাবনায় একজন ও নাটোরে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহে দু’দলের মধ্যে গোলাগুলিতে চারজন নিহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে।

তাঁদের পাশে মাদকদ্রব্য ছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।

এ নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর গত ১৪ দিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।  

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:-

কুমিল্লা: কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এনামুল হক (দোলন) ভূঁইয়া (৩৫) ও নুরু নামের (৫৫) দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী। রোববার রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা এলাকায় এ দুটি ঘটনা ঘটে।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, দেবিদ্বারে নিহত দোলন উপজেলার ভিংলাবাড়ি (মির্জানগর) গ্রামের মৃত আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে এবং সদর দক্ষিণে নিহত নুরু উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।

ওসি মিজানুর রহমান আরও জানান, মাদক উদ্ধার করতে উপজেলার পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এলাকায় গোমতী বাঁধে অবস্থান নেয় পুলিশ। সেখানে মাদক ব্যবসায়ী দোলনসহ তার সহযোগীরা পৌঁছালে তাদের আটকের চেষ্টা করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী দোলনসহ সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও ২৩ রাউন্ড শটগানের গুলি চালায়। এতে দোলন গুলিবিদ্ধ হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পাইপগান, ১০ কেজি গাঁজা ও ১০০ পিস ইয়াবা। নিহত দোলনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার ও মুরাদনগর থানায় ১২টি মাদকের মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মাদকবিরোধী অভিযানকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী গলিয়ারা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী নুরু ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় নুরু। তাকে উদ্ধারের পর কুমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক নুরুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। নিহত নুরু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে ১১টি মাদক ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

পিরোজপুর: পিরোজপুরে পুলিশের সঙ্গে ‌‌‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. ওহিদুজ্জামান (৩৭) ও মিজানুর রহমান সরদার (৩৫) নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক জানান, নিহত ওহিদুজ্জামান নেছারাবাদ উপজেলার কৌড়িখাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। আর নিহত মিজানুর রহমান সরদার মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের লাল মিয়া সরদারের ছেলে। বন্দুকযুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাত পুলিশ।

মিজানুল হকের ভাষ্যমতে, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুর পৌরসভার কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে ওহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে ওহিদুজ্জামানকে নিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে বের হয় পুলিশ। রাত পৌনে একটার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা বেইলি সেতু এলাকায় ওহিদুজ্জামানের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং ওহিদুজ্জামানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ওহিদুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হন। পরে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ওহিদুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, পাঁচটি বন্দুকের গুলি, তিনটি কার্তুজ, ধারালো দা ও ১৭৫ পিচ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।  

ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আটটি মাদক মামলা রয়েছে। রোববার পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত একটি মাদক মামলায় তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বলে পুলিশ জানায়।

অপরদিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মিজানুর রহমান।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার জানান, রোববার রাতে মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। রাত পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেড় কেজি গাঁজা, ৫৫ পিচ ইয়াবা বড়ি ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের ছয়টি মামলা রয়েছে।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বাঁকালে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছে।

সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের বাঁকালের আগুনপুর গ্রামে রাস্তার পাশে লাশ দুটি পড়ে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল।

গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গি এলাকার মৃত এরাদ আলী মিস্ত্রীর ছেলে ইমদাদুল হক ও সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষিদাড়ি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খলিলুর রহমান পুটে।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস জানান, আজ ভোরে খবর আসে যে বাঁকালের পাশে আগুনপুরে দুটি লাশ পড়ে রয়েছে।  

তিনি বলেন, লাশ দুটির প্রত্যেকের দেহে একটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের পরনে লুঙ্গি ও গেঞ্জি  ছিল। মাত্র ১০ গজের ব্যবধানে লাশ দুটি পড়ে ছিল বলে তিনি জানান। লাশের পাশেই পাওয়া গেছে একটি ওয়ান শুটার গান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল। এ ছাড়া মদের খালি বোতলও পাওয়া গেছে।

উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ওই দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
 

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে মাদক বিক্রির সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাতপরিচয় এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

রোববার রাত তিনটার দিকে মিরপুরের রূপনগর ‘ট’ ব্লকে সরকারি কর্মচারীদের নির্মাণাধীন ভবনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।

রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, রূপনগর ট-ব্লক এলাকায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে মাদকব্যবসায়ীর অবস্থান করছে। এমন খবরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাতে সেখানে গেলে মাদকব্যবসায়ীরা গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে একজন নিহত হন। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভায় কথিত গোলাগুলিতে সুমন বিশ্বাস (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

রোববার রাত পৌনে দুটার দিকে পৌরসভার নয়াদীঘিরপাথর এলাকার মুড়মা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুমন মাদকসহ ২০ থেকে ২৫টি বিভিন্ন মামলার আসামি বলে পুলিশ জানায়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে গোলাগুলিতে ফরিদ হোসেন (২৫) এক ‌‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন। নিহত ফরিদ পাগলকানাই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পুলিশ দাবি, মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গোলাগুলির ঘটনায় ওই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে সদর উপজেলার জাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, রাত একটার দিকে জাড়গ্রামে গোলাগুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সেখানে একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তার পাশ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, এক কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ছয় জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, মীরকাদিম পৌরসভার মুড়মা এলাকায় দুই পক্ষ মাদক ব্যবসায়ীর মাঝে ‘গোলাগুলি’র ঘটনা ঘটে। সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমন নিহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা একটি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি) ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমন মাদকসহ ২০ থেকে ২৫টি বিভিন্ন মামলার আসামি।

চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবু সাঈদ বাদশা ওরফে লাল বাদশা নামে এক ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন। নিহত আবু সাঈদ ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, আবু সাঈদ ১০টি মাদক মামলার আসামি। রোববার রাত দেড়টার দিকে পুলিশের একটি দল অভিযানে বের হয়। ফরিদগঞ্জের গুপ্টি ব্রিজ এলাকায় যাওয়া মাত্র মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ বাদশা। তাঁকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে ১১১ পিচ ইয়াবা বড়ি, ১টি একনলা বন্দুক, ৪টি গুলি ও ১টি ককটেল উদ্ধার করা হয়  বলে ‍ওসি জানান।

পাবনা: পাবনার বেড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইজ্জত আলী (২৮) নামে এক ‌‘ডাকাত’ নিহত হয়েছেন। উপজেলায় তেঘরি গ্রামে রোববার রাত দুইটার দিকে পাবনার বেড়া উপজেলার তেঘড়ি গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।

পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জিহাদ জানান, ইজ্জত আলী উপজেলার হাটুরিয়া গ্রামের মৃত আজাহার আলী প্রামাণিকের ছেলে।

তিনি আরও জানান, রোববার রাতে বেড়া মডেল থানা এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ। তারা তেঘরি গ্রামের পাকা রাস্তায় পৌঁছা পর একদল ডাকাত কাঠের গুঁড়ি ফেরে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। এসময় ভ্যান থেকে পুলিশ নামার সঙ্গে সঙ্গে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ডাকাতদল পালিয়ে গেলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  

ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় শুটারগান, চার রাউন্ড কার্তুজ, ৬০০ গ্রাম গাঁজা এবং ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

পুলিশের দাবি ইজ্জত আলী তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা ও ডাকাত।

নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় র‍্যাবের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। র‍্যাবের দাবি নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী।

র‍্যাব-৫ জানায়, সোমবার রাত দেড়টার দিকে জেলার  সিংড়া উপজেলার ভাগনাগরকান্দি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে গুলি বিনিময় চলাকালে  খালেক (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীকে   সিংড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত খালেক সিংড়া উপজেলার বড় চৌগ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, অস্ত্র ও গুলি, উদ্ধার করা হয়।

সম্পর্কিত খবর