জামায়াত জোট বা ফ্রন্ট নয়, একলা চলো নীতিতে এগুতে চায় বিএনপির তৃণমূল

Other

জোট কিংবা ফ্রন্ট নয়, এবার একলা চলো নীতিতেই এগুতে চায় বিএনপি। স্বাধীনতাবিরোধী কোন শক্তির সঙ্গে থাকার পক্ষে নন দলের অধিকাংশ নেতা। বিশেষ করে দলটির মুক্তিযুদ্ধাদের পরামর্শ, ২০ দলীয় জোট শরিক জামায়াতের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার। জামায়াতের সঙ্গে এক মঞ্চে আন্দোলন কিংবা নির্বাচনে যেতেও রাজি নন বিএনপির অনেক নেতা।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছেও তারা দাবি জানিয়েছেন, জামায়াত নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করার।

এক দিকে ২০ দলীয় জোট অন্যদিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গড়ে তোলা ঐক্যফ্রন্ট। দীর্ঘ দিন ধরেই কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই এই দিই জোটের। তাই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি যখন এক দফার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন আলোচনায় এসেছে, এবার কি তবে একলা চল নীতির পথে হাঁটছে দলটি? 

আরও পড়ুন:


পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী খালাতবোনকে রেস্টহাউজে নিয়ে ধর্ষণ

ঝালকাঠিতে দুর্বত্তদের এলোপাতাড়ি কোপে স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত

আরিয়ানের ক্ষোভ, ‘পার্টিতে লোক ছিল ১৩০০, গ্রেপ্তার শুধু ১৭’

ই-কমার্সে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের দায় নেবে না সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী

আন্দোলনের কৌশল ঠিক করতে সম্প্রতি শেষ হওয়া সিরিজ বৈঠকে হাইকমান্ডের কাছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সঙ্গত্যাগের জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন সারির নেতার।

তারা বলেছেন, জামায়াত বিএনপির সহায়ক নয়, বরং বোঝা; দেশি ও বিদেশিদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ওই দলটি বিএনপির এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় বাধা।

মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরেও দলটির সাথে সুসম্পর্ক বজায়ে রেখেই চলেছে বিএনপি। তবে ২০ দলীয় জোটের কার্যক্রমে দিন দিন নীরব দর্শক হতে থাকে জামায়াত ইসলামের দায়ভার বহন করতে রাজি নন বিএনপির মুক্তিযোদ্ধারা।

দলটির নেতারা বলছেন, তাদের সঙ্গে জামায়াত থাকায় তাদের গায়ে লেগেছে যুদ্ধাপরাধীর তকমা। তাই সামনের দিনগুলোতে জামায়াত ছাড়াই এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ তাদের। সিনিয় ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠকের আগে জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা হয় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও।

news24bd.tv/ তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর