হোটেলেই জিম, সুইমিং করে কাটিয়েছে আগের ম্যাচের ধকল কাটানোর জন্য বাংলাদেশ দল। আজও অনুশীলনে নামছে না তারা। নেপাল ম্যাচ ১৩ অক্টোবর। এর আগের পাঁচ দিন ওই ম্যাচের জন্য তৈরি হতে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ দল।
এর প্রথম দুই দিনই বিশ্রামের জন্য বরাদ্দ, খেলোয়াড়দের ওই শেষ ম্যাচের জন্য সতেজ করে তুলতে এর বিকল্প দেখছেন না কোচ অস্কার ব্রুজোন। শেষ তিন দিন হবে মাঠের প্রস্তুতি। তাতে ১৩ অক্টোবর শারীরিক, মানসিক ও মাঠের প্রস্তুতির দিক থেকেও সেরা একটা অবস্থানে থেকে নামতে পারবে বাংলাদেশ দল।ফাইনালের আগে সেই ম্যাচই এখন ফাইনাল হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুও মনে করেন হামজার ওই বাইসাইকেল কিকটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট, ‘ওই গোল হয়তো দ্বিতীয়বার আর সে করতে পারবে না। কিন্তু ম্যাচে ওটাই আমাদের সর্বনাশ করে দেয়। ’ এরপর চ্যালেঞ্জটা আসলে দ্বিগুণ হয়ে যায়, শক্তি-দমে পিছিয়ে থাকার পর আবার গোলেও পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা হয়ে দাঁড়ায় আত্মঘাতী। প্রতিপক্ষের ক্রমাগত চাপে স্রেফ ভেঙে পড়তে হয়। ম্যাচের শেষ দিকে বাংলাদেশের হাতে তাই কিছুই ছিল না। ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল মালদ্বীপ। মুহুর্মুহু আক্রমণে ভাসিয়েছে তারা বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন:
৬৮ বছর পর রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ার ইন্ডিয়া আবারও কিনলো টাটা সন্স
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বোমা হামলা মামলার রায় আজ
টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে আদালতে ট্রাম্প
যুবলীগ নেতার সঙ্গে ভিডিও ফাঁস! মামলা তুলে নিতে নারীকে হুমকি
নেপাল ম্যাচে তা ভুলতে চায় বাংলাদেশ। পাঁচ দিনের বিশ্রামের পর উল্টো প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপাতে চায় ব্রুজোনের দল। এর আগে ভারতের বিপক্ষে খেলে ওই ম্যাচে কমজোরি হয়ে পড়ার কথা নেপালেরও। সেই সুযোগটা নিতে চায় বাংলাদেশ। এই উপলব্ধি থেকে পরশুর হারের পরও দলের ভেতর থেকে ইতিবাচক হাওয়াটা তাই নড়ে যায়নি। রহমত যেমন বলছিলেন, ‘কেউই আমরা ভেঙে পড়িনি। আমাদের ফাইনালে যাওয়ার এখনো সুযোগ আছে। ১৩ তারিখ নেপালের বিপক্ষে জিততে পারলে আশা করি আমরাই ফাইনাল খেলব। ’ এই কয়টা দিন সেই লক্ষ্য থেকে তাই মনোযোগ সরাতে চান না তাঁরা, ‘কঠিন একটা সপ্তাহ গেছে আমাদের। সামনের এই পাঁচটা দিন তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের সতেজ করে নেপালের বিপক্ষে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই নামতে চাই আমরা। ’ আশা এবং এই বিশ্বাসের সঙ্গে এখন প্রাপ্তিটা যোগ হলেই হয়।
news24bd.tv রিমু