হৃদয়ের কাছে সকল কবিদের ধরা দিতে হয়!

হৃদয়ের কাছে সকল কবিদের ধরা দিতে হয়!

Other

I loved you, and I probably still do বাংলা করলে হবে,  “আমি তোমাকে ভালবাসতাম, সম্ভবত এখনও ভালবাসি” কবিতাটি একটি শক্তিশালী ভালবাসার কবিতা হিসেবে সমাদৃত রাশিয়ান রোমান্টিজম এর প্রদর্শক হিসেবে স্বীকৃত পুশকিনের। পুশকিনের অসংখ্য কবিতা তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

পুশকিন ১৭৯৯ সালের ৬ জুন জারশাসিত রাশিয়ার মস্কোয় জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম আলেক্সজান্ডার সের্গেয়েভিচ পুশকিন।

যিনি রাশিয়ার সেক্সপিয়ার নামে খ্যাত।  

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে যখন রাশিয়ায় বিপ্লব ঘনীভূত হয়ে ওঠে, সে সময় সাহিত্যের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে ধারণারও পরিবর্তন শুরু হয়। তবে ঊনবিংশ শতাব্দী রুশকাব্যের জন্য স্বর্ণযুগ বলা যায়। এ জন্য এককভাবে আলেকজান্ডার পুশকিনের নাম উল্লেখযোগ্য।

 

আরও পড়ুন:


সাধারণ হাজতির মতোই থাকতে হবে আরিয়ানকে, মানতে হবে রুটিন

টিভির পর্দায় লাল রঙের পানীয় পান করতে পারবে না নারীরা

প্রেমিকার সঙ্গে হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক, সকালে পালালো যুবক

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে যৌনকর্মীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা


তিনি সাম্রাজ্য ও স্বাধীনতার সভাকবি। রাশিয়ার লোকসংগীত ও পল্লীগাথার সাথে ইউরোপের ঐতিহ্যের মিলন ঘটিয়েছেন।  

রাজনৈতিক কবিতা লেখার জন্য তিনি নির্বাসিত হন। নির্বাসিত জীবনে লেখা কবিতার ভেতর রোমান্টিসিজম, সৌন্দর্য বন্দনা ও বাস্তবতার অপূর্ব সমাহার দেখা যায়।  

পুশকিনের মৃত্যুর পরই রাশিয়ায় কবিতার স্বর্ণযুগ শেষ হয়ে যায়। এরপর গদ্য সাহিত্য পাঠকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। দস্তয়েভস্কি, টুর্গেনিফ, গনচারফ, টলস্টয় প্রমুখ গদ্যকারের লেখায় সামাজিক বাস্তবতা মর্মভেদী হয়ে ওঠে। সে সময় কবিতা চর্চা নিরংকুশভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সিম্বলিস্ট ধারার কবিদের চেষ্টায় কবিতা আবারও জেগে ওঠে।

কবিতা এমন এক মৌলিক শিল্প, যার কণ্ঠ কখনো একেবারে রুদ্ধ করে দেয়া যায় না। পৃথিবীর প্রথম সৌন্দর্য ফুটে ওঠে কবিতায়। কবিতাকে তাই আদি শিল্পও বলা যেতে পারে।

সিম্বলিষ্ট ধারার কবিরা দু’দলে বিভক্ত ছিলেন, একদল মনে করতেন, সমাজের প্রয়োজনের জন্য, সত্য ও ন্যায় বিচারকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য কবিতা লেখা প্রয়োজন। কবিতা লেখার আগে দেশ প্রেম অধিক প্রয়োজন। আরেক দল মনে করতেন, শিল্প শিল্পের জন্য। শুধু নান্দনিকতা চর্চা, সৌন্দর্যপ্রিয়তা, রোমান্টিসিজম ইত্যাদি ধারা ছিল তাদের লেখার অন্যতম বিষয়।  

শিল্প কারও কাছে দায়বদ্ধ হতে পারে না,  চিন্তার গভীরে সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর অবস্থানে বিচরণই এ ধারার কবিদের লক্ষ্য ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক মানুষদের এ ধরনের কবিতা উপকারে নাও আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের কাছে সকল কবিদের ধরা দিতে হয়।

news24bd.tv/ কামরুল