রাজধানীর প্রায় ৭০শতাংশ ভবনে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। যার ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ভয়াবহতাও বাড়ছেই। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে রাজধানীতে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ৩০ শতাংশ ঘটনাই ঘটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে। আর এমন বাস্তবতায় পালিত হচ্ছে বিশ্ব অগ্নি প্রতিরোধ দিবস।
তাই অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতা কমাতে ভবন নির্মাণের সময় ভালোমানের তার, অগ্নি প্রতিরোধ বোর্ড ব্যবহার, ও উন্নতমানের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।রাজধানীর বনানীতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। যাতে প্রাণ হারাণ ২৬ জন। আর চলতি বছরের ৮ জুলাই রূপগঞ্জ সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যান ৫২ জন শ্রমিক-কর্মচারী।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৯ মাসে সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ১৭ হাজার ১৫৬ টি। যাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৭১ কোটি টাকার সম্পদ। আর এসব দুর্ঘটনা ৩০ শতাংশই হয়েছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিম্নমান এবং নকল তার ব্যবহার করার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি ঘরের সাজসজ্জা ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের বোর্ড আগুনের ভয়াবহতা আরো বাড়িয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বোমা হামলা মামলার রায় আজ
টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে আদালতে ট্রাম্প
করোনা প্রতিরোধে টিকার বিকল্প কোভিড পিলের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সাফল্য
অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি কমাতে এরই মধ্যে বাজারে আগুন প্রতিরোধক ও সর্টসার্কিটের সম্ভাবনা শূণ্যের কোঠায় রেখে তার নিয়ে এসেছে পার্টেক্স স্টার গ্রুপ। পাশাপাশি ঘরবাড়ির সাজ সজ্জার কাজে ব্যবহৃত জিপসাম বোর্ড ও পার্টিশন বোর্ডও তৈরী করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। তারের মত এসব বোর্ডও প্রায় তিন ঘন্টা আগুন প্রতিরোধে সক্ষম বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিদের।
গূণগত মানের এসব তার ব্যবহারে অগ্নিকান্ড ঘটনা যেমন কমবে, তেমনি এসব বোর্ড ব্যবহার করলে ভবন নির্মান খরচের পাশাপাশি সুরক্ষাও অনেক বৃদ্ধি পাবে বলেও দাবি পার্টেক্স স্টার গ্রুপের এই কর্তার।
news24bd.tv/আলী