মিশন মিয়া। শক্ত সামর্থ্যবান ২১ বছরের টগবগে যুবক। আয়-রোজগার না থাকলেও ঠিকই বেঁধেছেন গাঁটছড়া। তখন থেকেই তিনি কিছুটা বোহেমিয়ান।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায়ও নামে মায়ের ওপর নির্যাতনের খড়্গ। সেদিনও এক দফা মারধর ও ভাঙচুর শেষে মিশন দা নিয়ে ছোটেন মমতাময়ী মাকে কোপাতে। সে সময় ভয়ে জবুথবু মায়ের মর্মন্তুদ গোঙানি। চিত্কার শুনে এগিয়ে আসে আশপাশের মানুষ। প্রাণহরণ থেকে এ যাত্রায় বাঁচলেন মা। ঘটনাটি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের।
এ ঘটনা এক কান দুই কান হয়ে চলে যায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তুলে আনে মিশনকে। বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মহি উদ্দিন গর্ভধারিণীকে নির্যাতনের দায়ে মিশন মিয়াকে ১০ মাস ১০ দিন কারাদণ্ড দেন। মিশন পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘হৃৎপিণ্ড’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে বড় জয়, বিশ্বকাপের আরও কাছে ইংল্যান্ড
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা তরুণী
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন জানান, মাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন মিশন, আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। গত শুক্রবার ফের নির্যাতনের খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ১০ মাস ১০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
news24bd.tv রিমু