শিল্পকলার অতি প্রাচীন একটি শাখা হচ্ছে ক্যালিগ্রাফি। ক্যালিগ্রাফি শব্দটা ইংরেজি হলেও গ্রীক শব্দ ক্যালিগ্রাফিয়া থেকে এসেছে। গ্রীক শব্দ ক্যালোস এবং গ্রাফেইনের মিলিত রূপ ক্যালিগ্রাফিয়া। ক্যালোস অর্থ সুন্দর, আর গ্রাফেইন অর্থ লেখা।
খুব সহজ করে বললে, ক্যালিগ্রাফির পরিচয় এভাবে দেয়া যেতে পারে- হরফ বা টেকসট ব্যবহার করে চমৎকার লেখনী শিল্পকে ক্যালিগ্রাফি বলে।
ক্যালিওগ্রাফির চর্চা প্রথম চিনে হলেও মুসলমানদের হাত ধরে ক্যালিগ্রাফির চূড়ান্ত বিকাশ হয়। এমনকি আজকের দিনেও নামকরা ক্যালিগ্রাফিক ডিজাইনারেরা বেশীরভাগই মুসলিম।
ক্যালিগ্রাফির জন্য বাঁশের তৈরি একটা বিশেষ বস্তু ব্যবহার করা হতো তার নাম ছিলো "কলম"।
বাংলাদেশে বাঁশের কলম দিয়ে ক্যালিগ্রাফি খুব বেশি একটা দেখা যায় না। অন্যদিকে ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং অর্থাৎ রঙ-রেখায় হরফ দিয়ে ক্যালিগ্রাফি চর্চা বেশি দেখা যায়।
ইউরোপে অসংখ্য রাজপ্রাসাদ আছে। সবগুলোই চমৎকার এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু স্পেনের আল হামরা রাজপ্রাসাদের আর্কিটেকচার, অলংকরনকে ইউরোপের অন্য কোন প্রাসাদ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। এর কারণ হচ্ছে ক্যালিগ্রাফি আর জ্যামিতির দারুণ ব্যবহার।
আজকে আমি ইরাকের বর্তমান সময়ের ক্যালিগ্রাফিক পেইন্টার হাসান মাসুদির একটা ক্যালিগ্রাফির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। হাসান মাসুদকে ধরা হয় বর্তমান সময়ের এক নম্বর ক্যালিগ্রাফিক পেইন্টার।
ক্যালিগ্রাফির এই চর্চা থেকেই জন্ম নিয়েছে আজকের গ্রাফিক ডিজাইনিং।
আরও পড়ুন:
রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকবে
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে দুদিন ধরে ধর্ষণ
নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাজনীতিতে আবারও উত্তাপ, যা বলছে বিএনপি-আ.লীগ
পল্লবী থেকে উধাও হওয়া সেই ৩ বান্ধবীকে দেওয়া হল পরিবারের জিম্মায়
বাংলাদেশে অল্প হলেও কয়েকজন বিশ্বমানের ক্যালিগ্রাফিক শিল্পী আছেন; আরিফুর রহমান, আব্দুর রাহীম আর হাসান মুর্শিদের ক্যালিগ্রাফি অন্যতম।
বাংলা অক্ষর দিয়ে ক্যালিগ্রাফি খুব একটা এগুতে পারেনি। আমরা অসংখ্য ফন্ট তৈরি করতে পারতাম বাংলা ভাষায় কিন্তু সেই কাজটা এখনো করা হয়নি। খুব সামান্য কিছু ফন্টই আমরা ঘুরে ফিরে ব্যবহার করি।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, বাংলা ক্যালিগ্রাফিতে যিনি সবচেয়ে ভালো কাজ করেছেন, তিনি হচ্ছেন আব্দুর রাহীম। উনার করা বাংলা ক্যালিগ্রাফিও একটা যুক্ত করে দিলাম।
news24bd.tv/ নকিব