বক দিয়ে বক শিকার!

বক দিয়ে বক শিকার!

Other

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বিলে পোষা বক দিয়ে ফাঁদ পেতে বুনো বক শিকার করছে এক শ্রেণীর পাখি শিকারিরা। পরে এসব বক প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছে। প্রচলিত আইনে পাখি শিকার দণ্ডণীয় অপরাধ জেনেও তা থেকে বিরত থাকছে না তারা।

আজ রোববার ভোর ৫ টায় পৌর শহরের দুখা ফকিরের মোড় নামক এলাকার একটি বিলে বক শিকার করতে দেখা যায় চাঁচকৈড় বাজারের ফ্লাক্সিলোড ব্যবসায়ী শাহিন আলম, শফিক, রাকিব হোসেন ও হান্নানকে।

প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ২০০টি বক শিকার করে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক ব্যক্তি জানান।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাঠে একাধিক শিকারিরা নির্বিঘ্নে বক শিকার করছে। এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি স্থানীয় প্রশাসনের।

গুরুদাসপুর পৌরসদরসহ চলনবিলাঞ্চলে বর্ষার শেষ ভাগে বক শিকারিদের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশি।

উপজেলার নাজিরপুরের গুপিনাথপুর বিল, পৌরসদরের বিভিন্ন মাঠ, ব্রামনবাড়িয়ার বিল, হাড়িভাঙ্গা বিলসহ বেশ কিছু বিলে শিকারিরা নানা ধরনের ফাঁদ পেতে বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি শিকার করছে।  

আরও পড়ুন:


প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর অনশন

প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে দুদিন ধরে ধর্ষণ

নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাজনীতিতে আবারও উত্তাপ, যা বলছে বিএনপি-আ.লীগ

পল্লবী থেকে উধাও হওয়া সেই ৩ বান্ধবীকে দেওয়া হল পরিবারের জিম্মায়


স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান,‘বক ধরার জন্য এক প্রকার ফাঁদ পাতে। বাঁশের ছোট বানা বৃত্তাকার করে মাটিতে পুঁতে দেয়। এর ওপরের অংশ কলা ও খেজুরের পাতায় ঢেকে দিয়ে পোষা বকগুলো ফাঁদের ওপর বেঁধে রাখে। পরে তা জলাশয়ের ধারে ও ধানের জমিতে স্থাপন করে ভেতরে লুকিয়ে থাকে শিকারীরা। পোষা বকের ডাক শুনে বুনো বকেরা চলে আসে। তখন তারা কলাপাতার ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে বুনো বক ধরেন। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বকের ঠোকর খেতে হয়। এভাবে প্রতিবছর ভাদ্র থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত তারা বক শিকার করে থাকেন। প্রতি জোড়া বক ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। ’ 

এ বিষয়ে রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজের প্রভাষক ও পরিবেশ প্রেমী মো.মাজেম আলী মলিন বলেন,‘বক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তা জেনেও অনেক শিকারি জলাশয় ও ধানের জমি থেকে বক শিকার করে বিক্রি করছেন, যা মোটেও কাম্য নয়। ’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তমাল হোসেন জানান, ‘পাখি শিকার করা দন্ডণীয় অপরাধ। অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শিকারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ’

news24bd.tv/ কামরুল 

এই রকম আরও টপিক