জীবন এখন ঘর-উঠোনে বন্দি

Other

বাল্যবিয়ের কারণে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর অগণিত নারীর পড়াশোনা থেমে গেছে। করোনা আরও বাড়িয়েছে সে সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি প্রণোদনা, সচেতনতা ও বেসরকারি উদ্যোগ সম্মিলিতভাবে কমাতে পারে বাল্যবিয়ের সংখ্যা।

পড়াশোনা করেননি।

তাই মাথায় বোঝা। অনেকে আবার নিজেই বোঝা পরিবারের। কেউ কেউ পড়েছেন। তবে স্কুলের গণ্ডি পেরোননি।
হতে চেয়েছিলেন শিক্ষক, হয়েছেন দর্জি। জীবন এখন ঘর-উঠোনে বন্দি।  

আঠারো বছরের সোনাকি ভাবেন, সরকারি শিক্ষক হলে পেতেন সম্মান। অন্তত আঠারো থেকে বিশ হাজার টাকা মাসে আয় হত। এখন মাসে গড় আয় ছয়শ টাকা। বাল্যবিয়ে হওয়ায় সোনাকির স্বপ্ন তাই অধরা।

নওগাঁর চেরাগপুরের আমতলীর পাহান জাতিগোষ্ঠীর ঘরে ঘরে একই চিত্র। বাল্যবিয়ে এখানকার নিত্যচিত্র। এই যেমন কল্পনা রানী পাহানেরও বিয়ে হয় ১৪ বছর বয়সে, ক্লাস সেভেনে পড়াকালে। দুই সন্তানের মা কল্পনার ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে চাকরি করবেন। কিন্তু কিছুই করা হল না। এখন একটাই চাওয়া তার মত যেন মেয়ের জীবনটা নষ্ট না হয়।   

আরও পড়ুন:


দক্ষিণাঞ্চলে হবে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: শেখ হাসিনা

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতির বাসায় ককটেল হামলার অভিযোগ

বিনয়কে দুর্বলতা ভাববেন না

বিএফইউজের নির্বাচন আয়োজনে আর বাধা নেই


নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। করোনাকালে স্কুল বন্ধ ছিল। আয়ও কমে যায় অনেক পরিবারের। ফলে  ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠীদের মধ্যে বাল্য বিবাহ বেড়ে যায় প্রায় ৬০ শতাংশ। (উন্নয়ন সংস্থা আরকোর তথ্য)। অনেক জায়গায় আগে থেকেই বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভ্যাস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিরাপত্তাহীনতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা বিষয় বাল্যবিয়েকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

news24bd.tv নাজিম