ই-বর্জ্যের কঠিন ধাতবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে নারী ও শিশুরা

ই-বর্জ্যের কঠিন ধাতবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে নারী ও শিশুরা

Other

ইলেক্ট্রনিক বা ই-বর্জ্যের কঠিন ধাতবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশের ৩ কোটি মানুষ। এমন তথ্য, গবেষণা সংস্থা এসডোর। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে পরিশোধনের অভাবে ৯৭ ভাগ ই-বর্জ্যই মিশে যাচ্ছে প্রকৃতিতে। যাতে আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠছে পরিবেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঝুঁকি থেকে বাঁচতে এখনই নজর দিতে হবে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়।

প্রযুক্তির প্রসারের সাথে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা। চাল থেকে চুলো- সবক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যেই নির্ভরশীল হয়ে উঠছে মানুষ। পণ্যের ব্যবহার যত বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে বর্জ্য।

এই ইলেক্ট্রনিক বর্জে্যর ভয়াবহতা অন্য যে কিছুর তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। দেশে গত ৫০ বছরে ইলেক্ট্রনিক্স বর্জ্য যা তৈরি হয়েছে, পরিশোধনের অভাবে তার প্রায় সবই মিশে গেছে মাটি পানি কিংবা পরিবেশে। সম্প্রতি বর্জ্য পরিশোধনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও তাদের সক্ষমতা মাত্র ৩ ভাগ।

প্রকৃতিতে মিশে যাওয়া ৯৭ ভাগ ইলেক্ট্রনিক বর্জে্য থেকে ক্ষতিকর ধাতব উপাদান, লেড, সীসা, কেডমিয়াম, ক্রোমিয়াম ও কপারের বিষ, চক্রাকারে আরো বিষাক্ত করে তুলছে চারপাশ। বিশেষজ্ঞদের মতে সেই বিষই মানব শরীরে প্রবেশ করে বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসেবে দেশে বছরে ই বর্জে্য তৈরি হয় সাড়ে ৫ লাখ টনের বেশি। বছরে ২০ শতাংশ হারে বেড়ে ২০৩৫ সালে দেশে ই বর্জ তৈরি হবে ৪৬ লাখ মেট্রিক টন। গবেষণা বলছে দেশে সবচেয়ে বেশি ই-বর্জ্য তৈরি হয় জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প থেকে।

আরও পড়ুন:


বিষ খাইয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ভাড়াটে খুনি দিয়ে বাবাকে হত্যা করালো মেয়ে

পরকীয়ার জেরে শ্যালিকার বিয়ে ভাঙলেন দুলাভাই, আপত্তিকর ছবি!

মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড: দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন ইলিয়াছ

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকরির সুযোগ


ই-বর্জ্যের কঠিন ধাতবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে নারী ও শিশুরা। এমন বাস্তবতায় ই বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে আইন করেছে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে ই-পণ্য উৎপাদনকারীকেই আগামী ৫ বছরের মধ্যে ফেরত নিতে হবে দেশের ৫০ ভাগ ই বর্জ্য।

news24bd.tv রিমু