পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটই উৎপাদনে সক্ষম

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটই উৎপাদনে সক্ষম

Other

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ফেইজের দুটি ইউনিটই এখন উৎপাদনে সক্ষম। তবে সঞ্চালন লাইন নির্মিত না হওয়ায় সক্ষমতার মাত্র অর্ধেক উৎপাদন করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে। সম্পূর্ণ উৎপাদনে গেলেও এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না বলে দাবী কর্তৃপক্ষের।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট গত আট ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কেম্পানী লিমিটেড এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে। এর একটি ইউনিট বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতেও নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদনে সক্ষম হতে পেরে খুশি সংশ্লিষ্টরা।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন মাহালি জানান, গত দেড় বছর থেকে সফলভাবে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সক্ষমতার পুরোটাই দেওয়া সম্ভব এখান থেকে।

তবে বর্তমানে পুরোটা উৎপাদন করা হচ্ছে না।

২০১৭ সাল থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে এর প্রথম ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয় গত বছরের জানুয়ারিতে। কিন্তু গ্রিডের অপ্রতুলতা এবং গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার পর্যন্তসঞ্চালন লাইনের অভাবে পুরো ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে দিতে পারছেনা কেন্দ্রটি। কেবল একটি ইউনিটের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে নির্মিত গ্রীডের চাহিদা অনুযায়ী গড়ে ৬০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে বলে জানান আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জোবায়ের আহম্মেদ।

আরও পড়ুন


বেনাপোলের রেলপথে বাড়ছে পণ্য আমদানি

বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে

ঋণখেলাপি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্বেগ

বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ: সেই মামলার রায় আজ


আর পরিবেশ দূষণকারী ক্ষতিকর পদার্থ খুব কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দাবি করে নির্বাহী প্রকৌশলী রেদওয়ান ইকবাল খান বলেন, সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলেও তা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবেনা।

শিগগিরি জাতীয় গ্রীডের সাথে সঞ্চালন লাইন নির্মিত হবে এবং সম্পূর্ণ ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা এর কর্তৃপক্ষের।

news24bd.tv এসএম