জলমহালকে কেন্দ্র করে

কিশোরগঞ্জের বছরের পর বছর দুটি গ্রুপের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ

Other

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে একটি জলমহালের বিরোধকে কেন্দ্র করে বছরের পর বছর প্রভাবশালী দুটি গ্রুপের মধ্যে চলছে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ আর পাল্টাপাল্টি হামলা-মামলার ঘটনা। এসব বিরোধে গত ১২ বছরে খুন হয়েছে, শিশুসহ ৬ জন।  

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজেদের পক্ষের লোকজনকে হত্যা করে মামলা দায়েরের মতো অভিযোগও।   পুলিশ সুপার বলছেন, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃত্ত করে এই  বিরোধ নিস্পত্তি করা হলেই বন্ধ  হবে এ ধরনের হানাহানি।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় এলাকায় প্রায় ৫০ একর আয়তনের সরকারি জলমহাল ডুবাইল এবং ২৪ একর আয়তনের সাজিয়া কাওনিয়া। তাড়াইল,করিমগঞ্জ ও ইটনা উপজেলায় অবস্থিত এ দু’টি জলমহালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে স্থানীয় দুই গ্রুপের বিরোধ।
জলমহালের লিজ এবং মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গত ১২ বছরে এ দু’টি জলমহাল এলাকা রক্তাক্ত হয়েছে বারবার। শিশুসহ খুন হয়েছেন ৬ জন।

সবশেষ গত ৩ অক্টোবর জলমহাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জুনায়েদ মিয়া নামে একজনের লাশ।  

এলাকাবাসী জানায়, জলমহালের বিরোধে এ বছরের ৭ জুন খুন হন দিগদাইড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও রাশিদ মেম্বার। এর আগে, ২০০৮ সালে খুন হন দিকদাইড় গ্রামের জজ মিয়া, ২০১০ সালে একই গ্রামের শাহেদ আলী ও ২০১৩ সালে খুন হয় ৮ বছরের শিশু জামাল মিয়া। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী আশক আলী মেম্বার ও সাদেকের লোকজনের মধ্যে প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষ। এমনকি প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিস্থিতির বলি হচ্ছেন, কেউ কেউ।

পুলিশ বলছে, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সচেষ্ট তারা। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃত্ত করে স্থায়িভাবে বিরোধ নিস্পত্তি করা না গেলে এটি কমবে না বলে মনে করে পুলিশ।
 
এসব সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন শতাধিক এলাকাবাসী মালার আসামি হয়েছেন। প্রতিপক্ষের হামলা আর পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, অনেকে।  

আরও পড়ুন:


শেরপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

টানা পাঁচ দিন ছুটির ফাঁদে ভোমরা স্থলবন্দর

অনলাইনে চালু হচ্ছে বিয়ে-তালাক নিবন্ধন!

আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ


news24bd.tv/ কামরুল