পাহাড়ে কোমর তাঁতে তৈরি হবে না কঠিন চীবর, উৎসবেও সীমাবদ্ধতা

পাহাড়ে কোমর তাঁতে তৈরি হবে না কঠিন চীবর, উৎসবেও সীমাবদ্ধতা

Other

পাহাড়ে এবার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কোমর তাঁতে তৈরি করা হবে না কঠিন চীবর। বসানো হবে না বেইন ঘর অর্থাৎ কোমর তাঁতের অস্থায়ী ঘর। তবে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে মাস ব্যাপী পালন করা হবে চীবর দানোৎসব।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান, রাঙামাটি রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতে পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ প্রতি বছর রাঙামাটি রাজবন বিহারসহ বিভিন্ন বিহারে চীবন দানোৎসবে হাজারো মানুষের সমগম হয়। তাই  মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা মাথায় রেখে কঠিন চীবর দনোৎসবে বিভিন্ন কাটচাট করা হয়েছে। তবে ক্রয় করা রঙ কাপড়ে দানোৎসব হবে।

বেইন ঘর অর্থাৎ কোমর তাঁতের আয়োজন করা হবেনা। অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠানও ঠিক থাকবে। আগামী ২০অক্টোব প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের পর অর্থাৎ ২১অক্টোবর থেকে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।  

অন্যদিকে এরই মধ্যে পার্বত্যাঞ্চলে শুরু হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমার আয়োজন। বিহারে বিহারে ফানুস তৈরিতে ব্যস্ত বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা। পূর্ণিমার আকাশে প্রদীপ জালিয়ে কঠিন চীবর উৎসেবের জানান দিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে বিহার গুলোকে। হরেক রঙের রঙিন কাগজ, রঙ বে-রঙের বাতিতে সাজ- সাজ রব বিহারগুলোতে। শুধু তাই নয়, বিহার চত্বরে চলছে ফানুস তৈরির কাজও।

আরও পড়ুন


শাহরুখপুত্র গ্রেপ্তারে বলিউড নিয়ে যা বললেন শত্রুঘ্ন সিন্‌হা

মা-বাবার সেবাযত্নসহ ৬টি শর্তে ৭০ শিশুকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত

আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখছে: মির্জা ফখরুল

ফাইনাল খেলতে হলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের


স্থানীয় সুনীল চাকমা জানায়, ফানুসের জন্য পাহাড় থেকে কচি বাঁশ সংগ্রহ করা হয়। সে বাঁশের কঞ্চি তৈরি করে রঙিন কাগজ আর মোমের মাধ্যমে ফাসুর তৈরি করা হয়। একটা ফানুস তৈরি করতে মাত্র ২০০টাকা খরজ  লাগে। তবে দোকানেও হরেক রঙের তৈরি করা ফানুস পাওয়া যায়। কিন্তু দাম একটু বেশি। এছাড়া উৎসব থাকলে দাম বৃদ্ধি পাই। তাই পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা ছেলে-মেয়েরা নিজেরাই চেষ্টা করে ফানুস তৈরি করে। সেগুলো পুর্ণিমার আকাশে উড়ানো হয়।

এবার কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার ফানুস উড়ানোর হবে বলে জানান মারিশ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানব জ্যোতি চাকমা। তিনি বলেন, প্রবারণা পুর্ণিমার উৎসবের পর কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হচ্ছে। তাই পূর্ণিমাতে ফানুস তৈরির জন্য এলাকার পাড়াগুলো ভাগ করে যুবকদের ফানুস তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছে। সবাই ব্যস্ত সময় পাড় করছে। আর মাত্র ৭দিন বাকি পুর্ণিমার। এর মধ্যে শেষ হবে ফানুস তৈরি কাজ। ফানুস তৈরির মধ্যে সবার মনে আনন্দ উৎসব কাজ করেছে।

news24bd.tv এসএম