একসময় স্পেনের মার মেনোর সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষণীয় স্থান ছিলো। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকেই অবকাশ উপভোগ করতে সেই উপকূলে ছুটে যেতেন।
হঠাৎ একদিন উপকূলে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। মৃত মাছের পরিমান পাঁচটন ছাড়িয়ে যায়।
নানা মহলে এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। বিশেষ করে লেগুনের ঘোলা পানি ও দুর্গন্ধ প্রসঙ্গ থাকে আলোচনার কেন্দ্রে। ফলে, টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।আরও পড়ুন:
একটি পানির বোতলের জন্য জীবন দিলো কিশোর
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বোমা হামলা মামলার রায় আজ
টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে আদালতে ট্রাম্প
যুবলীগ নেতার সঙ্গে ভিডিও ফাঁস! মামলা তুলে নিতে নারীকে হুমকি
তদন্ত করে বিজ্ঞানীরা বলেন, লেগুণের বেহাল দশার জন্য নাইট্রেটযুক্ত শৈবালের প্রবাহ দায়ী। তারা বলেন, এই শৈবাল পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে, মাছ শ্বাস নিতে পারে না, মরে ভেসে উঠে।
ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। এরপর চারমাস ধরে এলডারিও এন এবয় লা মারিয়ার তদন্ত চলে। সেই তদন্তে পাওয়া যায় নতুন তথ্য, যা সবাইকে চমকে দেয়। তদন্তের পর বলা হয়, ১০০টি শুকরের খামারের বর্জ্য এসে পড়ে পানিতে। সেই ময়লাই পানি দূষিত করছে, বদলে দিয়েছে অনেক কিছু।
যাহোক, সুন্দর প্রকৃতি বদলে দেওয়ার কারণ তো উদঘাটিত হলো, ইউরোপের সবচেয়ে লবণাক্ত হ্রদগুলো কী আবারো পর্যটকদের গন্তব্য হয়ে উঠবে কী না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
গার্ডিয়ান অবলম্বনে।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত