কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতিকে তার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম নাজমুল ইসলাম (২৭)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুল সদর উপজেলা হাটশ হরিপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত রোববার বিয়ে করেন নাজমুল। নববধূ উর্মিকে নিয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। রাতে হঠাৎ গুলির শব্দে পরিবারের অন্যরা নাজমুলের ঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে কীভাবে কারা নাজমুলকে গুলি করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি স্ত্রী উর্মি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই আতিকুর রহমান জানান, কীভাবে নাজমুলকে হত্যা করা হয়েছে তা একমাত্র নাজমুলের স্ত্রী উর্মিই বলতে পারেন। এই মুহূর্তে তার সঙ্গে কথা বলার পরিবেশ নেই। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজমুলের স্ত্রী উর্মিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান জনি জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নাজমুল নামে এক রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
