চার বছর ধরে নিঘের বাড়ি ফেলে পলাতক হয়ে আছেন পাঁচ পুত্রের বাবা মোহাম্মদ মুছা। সম্পত্তির লোভে সন্তানদের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাবা ঘরছাড়া হয়েছেন। অত্যচার করে বাবাকে কাবু করতে না পেরে বাবাকে ঘায়েল করতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ ও মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে জন্মদাতা বাবাকে সেই সন্তানরা।
এমন নির্মম ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়।
ছেলেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হতভাগা বৃদ্ধ বাবা মোহাম্মদ মুছা (৮০) বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ছেলেদের নির্মমতার বর্ণনা দেন। উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আফজলেরপাড়া এলাকায় ওই বৃদ্ধের বাড়ি।বৃদ্ধ মোহাম্মদ মুছা বলেন, পাঁচ পুত্র, দুই কন্যা ও এক স্ত্রী নিয়ে সুখেই কাটছিলো আমার জীবন। ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই হঠাৎ আমার স্ত্রী মজুমা খাতুন মারা যান।
বিষয়টি পরে আমি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করে। আমার দুই ছেলের স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয়। তাদের স্বামীরা তখন বিদেশে অবস্থান করছিল।
২০১৭ সালের শেষের দিকে আমাকে ঘরেবন্দি রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার ছেলে শহীদুল ও পারভেজের সহযোগিতায় দ্বিতীয় ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাড়িভিটাসহ কিছু সম্পত্তি হেবা দলিলে লিখে নেয়। পরের বছরের মাঝামাঝি সময় অন্য ছেলে শহীদুল ইসলাম জোর করে আরও কিছু সম্পত্তি লিখে নেয়।
আমি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য লোক ও প্রশাসনকে জানালে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
তাদের ভয়ে অবশেষে ঘর থেকে বের হয়ে যাই। বর্তমানে আমি মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি আমার বড় ও পঞ্চম ছেলের ভাড়া বাসায় আছি।
আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইপিএল নিয়ে জুয়া, ৩ জনের সাজা
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বোমা হামলা মামলার রায় আজ
টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে আদালতে ট্রাম্প
যুবলীগ নেতার সঙ্গে ভিডিও ফাঁস! মামলা তুলে নিতে নারীকে হুমকি
প্রায় ৪ বছর ঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকার পরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। তারা আমাকে ঘায়েল করতে আমার বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগ করছে।
২০১৩ সালে জায়গার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আমাকে মারধর করলে আমি থানায় মামলা করার পর আমার ছেলে শহীদুল ও পারভেজকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে যায়।
শেষ বয়সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য আমি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে তাদের বিচার দাবি করছি। দৃষ্টান্তমূলক এমন বিচার কামনা করছি; যাতে অন্য কোনো বাবা আমার মতো ছেলের নির্মমতার শিকার না হয়।
news24bd.tv/আলী