কুমিল্লার ঘটনা ও একজন মুসলমানের বয়ান

কুমিল্লার ঘটনা ও একজন মুসলমানের বয়ান

Other

১. আমি ঈদের নামাজে কোনদিন কাউকে প্রতীমা রাখতে দেখিনি। কারণ ঈদ উদযাপনের সাথে ঈদের নামাজে প্রতীমা রাখার সম্পর্ক নেই। প্রতীমা হিন্দুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও মুসলমানের জন্য নয়। সুতরাং সে একই যুক্তিতে হিন্দুদের দুর্গোৎসবে কোরান শরীফ রাখার নেই কোন ধর্মীয় ও বাস্তবসম্মত যুক্তি।

এ কোরান রেখেছে হিন্দু মুসলিম চমৎকার সম্পর্ক বিনষ্টকারী একটা কুচক্রি মহল। রাষ্ট্রের উচিত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনার পেছনের কালপ্রিটকে খুঁজে বের করা।

২. শুধু এ ঘটনা নয় বাংলাদেশে এ ধরনের যেকোন ঘটনা হলে একশ্রেণির লোক ঘটনার পূর্বাপর না জেনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কিংবা ফেসবুক লাইভে এসে পরিস্থিতি উস্কে দেয়। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

তাদের খুঁজে বের করা কঠিন নয়। আপাতত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী ভাবনা, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর মত কয়েকজনের বিভিন্ন স্ট্যাটাস বা ছবির কমেন্ট বক্স খুঁজলেই কয়েকজনকে পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

৩. আমাদের শিক্ষার মানে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। প্রতিটি ধর্মের মূল চেতনা অক্ষুন্ন রেখে মানুষ হিসেবে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতি গুরুত্বারোপ করে শিক্ষাদান করতে হবে। এক্ষেত্রে রাসুল (সা) বিদায় হজের ভাষণে কী বলেছেন, কোরান এবং হাদিসের আলোকে তাঁর জীবনের অনন্য ঘটনাগুলো মুসলমানদের জানাতে হবে।

৪. সবশেষে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি। মাফ চাচ্ছি সে বাবার কাছে যিনি তার মেয়ের হাত ধরে মন্দিরে গিয়ে ভাঙচুরের সময় জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে এসেছেন, সে স্বামীর কাছে যিনি স্ত্রীকে নিয়ে পূজামন্ডপে গিয়ে আনন্দ করা থেকে বঞ্চিত হলেন, সে ভাইয়ের কাছে যে তার বোনকে মন্দিরে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। একজন মুসলমান হিসেবে আমি আমার অন্য ধর্মের ভাইবোনের কাছে ক্ষমা চাই। আমার ইসলাম এমন না। আমার ধর্ম শান্তির। যারা এ শান্তির ধর্মের মান রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন আমার আল্লাহ তাদের বিচার করুক।

লেখাটি কাজী শরীফ (সহকারী জজ ,নোয়াখালী)-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।

কাজী শরীফ, সহকারী জজ, নোয়াখালী -এর ফেসবুক থেকে নেওয়া। (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv নাজিম