বিলাসিতা আমার নয়, বরং এ ক্ষেত্রে উল্টোপথে হাঁটি। আমার জীবনাচরণ, পোশাক-আশাক সবকিছুই খুব সাধারণ। ঢাকায় গেলে আজকাল নিজেদের গাড়ির চাইতে বাস কিংবা উবারেই বেশী চড়ি।
তবে ভালোবাসা ফেরাতে পারি না।
এবার জন্মদিনে চরমভাবে চমকে দিয়েছিল নূপুরজান। জাপান থেকে তৈরী হয়ে লাল টুকটুকে সেই মাজদা সিএক্স-৮ গাড়িটা ১ নভেম্বর আমাদের পাবার কথা ছিল। সেপ্টেম্বর মাসে তৈরী হওয়া গাড়িটা জাপান থেকে সময়ের আগেই চলে এসেছে।আজ সকাল এগারোটায় একগাদা কাগজে সই করে নূপুরজান গাড়ির চাবিটা আমার হাতে তুলে দিল।
গাড়িটা আমি নিয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমি মনেপ্রাণে চেয়েছি গাড়িটা নূপুরজান চালাবে। কিন্তু তার কোন লক্ষণই নাই। নূপুর তার পুরোনো টয়োটা ক্লুগার জীপ নিয়ে মার্কেটে গেলো। আমি নতুন জীপে বাচ্চাদের নিয়ে মার্কেটে গেলাম। জাপানী গাড়ির সম্মানার্থে নানারকমের জাপানী সুশি দিয়ে লাঞ্চ সারলাম।
বিলাসিতা কিছুটা বুঝি সংক্রামকও। আজকাল ব্রান্ডের দোকান ছাড়া কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। বর্তমানে সংসার-সন্তান-নূপুরজানের পাশাপাশি আমার নিজস্ব সময়টুকু প্রধানত লেখালেখি এবং এই সংক্রান্ত পড়াশোনাতেই কাটে।
করোনার লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়েছে, তবে এখনো সবখানে যাবার অনুমতি নাই। বাসা থেকে দুঘন্টা দূরে নদীর পাড়ে অবস্থিত হলিডে পার্কের একটা রিসোর্ট বুক করেছি।
নতুন গাড়ি নিয়ে সবাই মিলে ২১ অক্টোবর চারদিনের জন্য ছুটি কাটাতে যাবে। প্রায় তিনমাসের লকডাউনে একদম হাঁপিয়ে উঠেছি। চিয়ার্স!
লেখাটি আবুল হাসনাত মিল্লাত-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া। (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv নাজিম