পাত্র দেখানোর কথা বলে বগুড়ার শিবগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ৩ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ঘটক শাহিনুরের বিরুদ্ধে। পরে অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই ঘটককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ঘটককে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটক শাহিনুরের পেশা ঘটকালি। সেই সূত্রে ওই কলেজছাত্রীর বাবার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘটক শাহিনুর ওই কলেজ ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।
গত ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা পার হলেও বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘটকের বাড়িতে গিয়ে ঘটককে না পেয়ে তাদের মনে সন্দেহ হয়। ঘটককে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন
চাকরির কথা বলে তরুণীকে হোটেলে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে নূর
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের পর্দা উঠছে আজ
রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকবে
কানাডায় ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: চ্যালেঞ্জ কোথায়?’ আলোচনা অনুষ্ঠিত
আরও জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ঘটক এবং ওই ছাত্রীর সন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে শিবগঞ্জ থানার রহবল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘটক তার মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করে আছেন। শনিবার (১৬ আক্টোবর) রাতে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন সেখানে গেলে ঘটক পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে ঘটক শাহিনুরকে গ্রেপ্তার এবং কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। ঘটক শাহিনুর ভালো ছেলের সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ইতোপূর্বে আরো ৩ জনকে বিয়ে করেন। কিন্তু পরে কেউ তার সংসার করেনি।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অপহৃত কলেজছাত্রীকে ঘটক শাহিনুরের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া শাহিনুরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
news24bd.tv এসএম