যারাই বিতর্কিতদের আ.লীগে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : নানক

যারাই বিতর্কিতদের আ.লীগে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : নানক

Other

যে সকল জেলা এবং উপজেলার নেতারা বিতর্কিত প্রার্থীদের পরিচয় গোপন করে  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে লিস্ট পাঠিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

সম্প্রতি কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা, মন্দিরে হামলায় জড়িত আসামিদের ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ৯/এ নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত অভিযুক্ত দুই আসামির মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই শঙ্কার বিষয়। তবে সু স্পষ্ট কথা হলো আমার যে, আমাদের মনোনয়নের ব্যাপারে কতগুলি স্তর পার করে চূড়ান্তভাবে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আছে।

কাজেই এদেরকে যারা চিহ্নিত করে নাই, অথবা এদের পরিচয় যারা গোপন রেখেছে, যে স্তরে বা সংগঠনের যে পর্যায়ে এটি হাইড করেছে বা গোপন করেছে এদের পরিচয় গুলি, সংগঠনের সেই স্তরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন সংবাদে এটাই প্রমাণ করে এরা ঢুকে পড়েছে। শুধু ঢুকেই পড়ে নাই, এরা বিভিন্ন নেতাদের কাঁধে সহায় হয়েছে। কাজেই, যে নেতার কাঁধে সহায় হয়েছে সে নেতাকে ঘার ধরে বের করে দেয়া উচিৎ এ দল থেকে।

অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ যাতে আর কখনো কেউ এই অপকর্ম না করে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তির এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন যাবত ই বিএনপি-জামায়াত তর্জন-গর্জন দিচ্ছিল, যে ঢাকা দখলের কথা বলেছিল এবং আন্দোলন-হুমকির কথা বলেছিল। অর্থাৎ দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য তাদের যে অভিপ্রায় ছিল, সেই অভিপ্রায় থেকে তারা এই বাঙ্গালীর একটি ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে তারা ব্যবহার করে।

আরও পড়ুন


বঙ্গবন্ধু যেতেই গুলি বন্ধ করল বিডিআর

মানুষের সঙ্গে যেভাবে কথা বলতেন বিশ্বনবী

সূরা বাকারা: আয়াত ১২৮-১৩৩, আল্লাহর নির্দেশ ও হয়রত ইব্রাহিম (আ.)

কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’


 

নানক বলেন, একটি পবিত্র কোরআন শরিফ একটি মূর্তির নিচে রাখার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কোরআন শরীফ রেখে কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় তারা হিন্দু সমাজের ওপর হামলা করলো, মূর্তি ভাংচুর করলো। এটি একটি সুগভীর উগ্র, ধর্মীয় উগ্রবাদী, মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র। দেশকে অচল পরিস্থিতি তৈরি করা। আমি বিশ্বাস করি যে দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষেরা এর নিন্দা জানায়, ঘৃণা জানায়, প্রতিবাদ করে এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না।

news24bd.tv/আলী