ওজু মানে হলো- পবিত্রতা অর্জন। নামাজ পড়ার জন্য ওজু আবশ্যক। ওজু ছাড়া নামাজ হয় না। কোরআন স্পর্শ করার জন্য ওজু শর্ত।
ওজুর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করেন। বিপুল সওয়াব ও পুণ্য দান করেন।ওজু করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) অজুতে কোনো স্থান শুষ্ক থাকার ব্যাপারে সাবধান করেছেন।
ইতোপূর্বে ওজুর ফরজ, সুন্নাত, আহকাম ও তারতিব তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে ওজু মাকরূহ হয় এবং ভঙ্গ হয়ে যায়, তা জানা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। যা জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-
ওজু ভঙ্গের কারণসমূহ:
যে সব কারণে ওজু ভঙ্গ হয় বা নষ্ট হয় তা হলো-
ক. পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।
খ. দেহের কোনো অংশ থেকে রক্ত, পুঁজ বের হয়ে যদি পবিত্র হওয়ার বিধান প্রযোজ্য হয়। অর্থাৎ গড়িয়ে পড়ে।
গ. মুখ ভর্তি বমি অর্থাৎ বেশি পরিমাণে বমি হলে।
ঘ. নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হলে।
ঙ. ঘুমানো- চিৎ হয়ে; কাত হয়ে; হেলান দিয়ে কিংবা কোনো কিছুর সঙ্গে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে ফেললে ঘুমন্ত ব্যক্তি পড়ে যাবে।
চ. অজ্ঞান হওয়ার পর; এমন অজ্ঞান যাতে বোধ শক্তি লোপ পায়।
ছ. অপ্রকৃতিস্থতা। যা ঘুম বা নিদ্রার চেয়েও প্রবল।
জ. রুকু-সাজদা বিশিষ্ট নামাজে অট্ট হাসি; তবে জানাজা নামাজে, তিলাওয়াতে সিজদায় এবং নামাজের বাইরে হাসলে অযু নষ্ট হবে না।
ঝ. পিছনের রাস্তা দিয়ে অর্থাৎ পায়খানার রাস্তা দিয়ে কীট বের হলে পবিত্রতা অর্জন তথা অযু করতে হবে।
ঞ. ফোঁড়া বা ফোস্কার চামড়া তুলে ফেলার কারণে যদি পানি বা পুঁজ বের হয়ে ফোঁড়া বা ফোস্কার মুখ অতিক্রম করে তাহলে পবিত্র নষ্ট হবে।
ট. পুরুষ ও মহিলার গুপ্তাঙ্গ কোনো অন্তরায় ব্যতিত একত্রিত হলে; বীর্যপাত হোক আর না হোক ওজু নষ্ট হবে।
আরও পড়ুন:
‘পবিত্র কোরআন অবমাননার’ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমার পিছনে কোন রাজনৈতিক বংশের জোর ছিল না: মোদি
ক্যামেরার সামনেই বিরাট-আনুশকার কথা কাটাকাটি!
সরকারের মদদেই পূজা মণ্ডপে কোরআন অবমাননা: ফখরুল
ওজুর মাকরূহসমূহ:
ক. প্রয়োজনের বেশি পানি ব্যয় করা।
খ. প্রয়োজনের চেয়ে কম পানি ব্যয় করা।
গ. মুখমণ্ডলে এমনভাবে পানি নিক্ষেপ করা যে, পানির ছিঁটা অন্যত্র পড়ে।
ঘ. ওজুর সময় অপ্রয়োজনীয় কথা-বার্তা বলা।
ঙ. ওজুর সময় বিনা ওজরে অন্যের সাহায্য নেয়া।
চ. নতুন পানি নিয়ে তিনবার মোথা মাসেহ করা।
news24bd.tv নাজিম