সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় যুবলীগ প্রস্তুত

সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় যুবলীগ প্রস্তুত

অনলাইন ডেস্ক

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ  ঘোষণা দিয়ে বলেছেন,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আমাদের সংখ্যালঘু ভাই - বোনদের অধিকার সংরক্ষণে সর্বদা প্রস্তুত।

তিনি বলেন, উগ্রবাদীদের থাবায় তাদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যেটা ঠিক শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডের মত আরও একটা লজ্জা ও বার্থতা বিষয়, এবং মানবতা পরাজয় হিসাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।   সুতরাং তাদের অধিকার রক্ষা করা আমাদের আদর্শিক এবং নৈতিক দায়িত্ব। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ুক শেখ রাসেলের মর্ম।

রোববার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ুক শেখ রাসেলের মর্ম; শেখ রাসেলের চারিত্রিক গুণাবলি ও তাঁর নামের প্রতীকী তাৎপর্য অনুধাবন করে বাংলার প্রতিটি যুবক-যুবতি জাগ্রত প্রগতিশীল যুবসমাজ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করুক, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি আরও বলেন, এই প্রত্যয় ও অনুভূতি থেকে আমরা আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের আশ্রয় কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব হিসাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ২২টি ঘর জননেত্রীর উপহার হিসাবে যুবলীগের তরফ থেকে গৃহহীন মানুষদেরকে হস্তান্তর করছি। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প একটা যুগান্তকারী কাজ।

অনেক উন্নত দেশও তাঁদের গৃহহীন জনগণকে গৃহদান করতে পারে না। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই অসাধ্য সাধন করেছে এদেশের মানুষের জন্য। আমি বিনয়ের সাথে বলতে চাই, সংগঠন হিসেবে এই প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগই একমাত্র সংগঠন যে নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর নির্মাণ করে হস্তান্তর করছে।

 তিনি বলেন, শেখ রাসেল আজ আবর্তিত হয়েছে সকল শিশুদের ওপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসাবে। তিনি বিশ্বের নানা প্রান্তের নিহত শিশুদের স্মরণ করে বলেন-শেখ রাসেল শুধু একজন নয়, পৃথিবীর হাজার হাজার রাসেলের প্রতীক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান  বলেন-পৃথিবীতে প্রতি বছর হাজার হাজার রাসেলের অকাল মৃত্যু ঘটে। এক প্যালেস্টাইনেই গত দুই দশকে (২০০০-২০২১ সালের ভিতর) ৩ হাজার এর বেশি শিশুদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এই ২০২১ সালের গত মে মাসে প্রায় ৬৬ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে। ১৫ই আগস্টে শেখ রাসেলসহ আমার মামা আরিফ সেরনিয়াবাত ও মামাতো ভাই শিশু সুকান্ত বাবুকে হত্যা করা হয়েছে। আরিফ সেরনিয়াবাত ফুটবল খেলতে ভালবাসতো এবং গানের প্রকৃতিদত্ত সুন্দর কণ্ঠ ছিল তাঁর। আমার পরিবারে আরেক ৮ বছরের শিশু, আমার বোনের ছেলে দুই বছর আগে উগ্রবাদী জঙ্গি বোমা হামলায় শ্রীলঙ্কায় নিহত হয়েছে। আমি স্মরণ করছি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি’র নাতি শহীদ জায়ান চৌধুরীকে।

তিনি আরও বলেন-শেখ রাসেল দুনিয়ার সকল নির্যাতিত, নিপীড়িত শিশুর সাথে সাথে ঐ জায়ান চৌধুরীও প্রতিচ্ছবি ও প্রতিনিধি হিসাবে আজ আত্মপ্রকাশ করেছে। আমাদের সমাজে শিশু নির্যাতন বেড়ে চলেছে। এই দিকে আমাদের সবারই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

news24bd.tv/আলী