মাগুরায় গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার জগদল ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই সদস্য পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মোল্লা ও সৈয়দ হাসানের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় খুন হন রহমান মোল্লা (৫৫), সবুর মোল্লা (৫২), কবির মোল্লা (৫০) ও ইমরান হোসেন (২৫)। নিহত সবুর মোল্লা ও কবির মোল্লা দুই ভাই। রহমান মোল্লা তাঁদের চাচাতো ভাই। সবুর মোল্লা ও কবির মোল্লাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
অন্য দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হন অন্তত ২০ জন।এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৮টার আগ পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, পুলিশ মামলা নেওয়ার জন্য শনিবার সারারাত অপেক্ষা করেছে।
সদর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, গোটা গ্রাম প্রায় পুরুষশূন্য। সবুর মোল্লা, কবির মোল্লা ও রহমান মোল্লা হত্যার ঘটনায় তাঁদের ভাই আনোয়ার মোল্লা এবং ইমরান হত্যা মামলায় তাঁর মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত ওই গ্রামের মোল্লা গোষ্ঠীর দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০০৩ সালে দুই পক্ষের বিরোধে খুন হয়েছিলেন তিন জন। তখন দুই পক্ষ মীমাংসা করে নিয়েছিল। তখন আইনানুগভাবে বিচার হলে শুক্রবারের সহিংসতার ঘটনা ঘটত না।
আরও পড়ুন
নবীর ভবিষ্যদ্বাণী, বৃষ্টির মতো বিপদ নেমে আসবে
মানুষের সঙ্গে যেভাবে কথা বলতেন বিশ্বনবী
সূরা বাকারা: আয়াত ১২৮-১৩৩, আল্লাহর নির্দেশ ও হয়রত ইব্রাহিম (আ.)
গত শুক্রবারের সহিংসতার বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানায়, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় জগদল ইউপির নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা এবারও প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই শত্রুতা চলে আসছে স্থানীয় সবুর মোল্লার। ওই ওয়ার্ডের সদস্য পদে সবুর মোল্লা তাঁর ঘনিষ্ঠ সৈয়দ হাসানকে প্রার্থী করেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জগদল মাঝিপাড়া এলাকায় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
জগদল ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটি মোল্লাদের গোষ্ঠীগত বিরোধ। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকেই এ বিরোধ চলছে। ’
news24bd.tv রিমু