আরেক দফায় বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম, সয়াবিন লিটার প্রতি ১৬০ টাকা

আরেক দফায় বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম, সয়াবিন লিটার প্রতি ১৬০ টাকা

অনলাইন ডেস্ক

আরেক দফায় বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। আগামী মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের পর ভোজ্য তেলের বাড়তি দাম কার্যকর হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানিয়েছে।

এর ফলে ভোক্তাকে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতল কিনতে খরচ করতে হবে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫৩ টাকা। আর এক লিটার পাম তেল কিনতে হবে ১১৯ টাকা দিয়ে, যা আগে ছিল ১১৬ টাকা।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্য তেল ও চিনির দাম বাড়িয়ে পুনরায় নির্ধারণ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, এফবিসিসিআইয়ের নেতা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠকের পর সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের বোতলের দাম ধরা হয়েছে ১৬০ টাকা।

এ ছাড়া পাঁচ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা, আগে ছিল ৭২৮ টাকা; খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার ১৩৬ টাকা, আগে ছিল ১২৯ টাকা। তিনি বলেন, দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেলের কাঁচামালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তা সত্ত্বেও কোরবানি ঈদ ও অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এত দিন দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি।

সফিকুজ্জামান বলেন, কোরবানির পর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ালেও তখন তুলনামূলক কম বাড়ানো হয়। ওই সময় এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫৩ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় সেটা কমই ছিল। তাই ব্যবসায়ী নেতারা আট-দশ দিনের মধ্যে আবার দাম পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব করেন।

এর আগে গত ৩০ জুন সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি চার টাকা কমানোর কথা জানিয়েছিল ভোজ্য তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এরপর সেপ্টেম্বরে তেলের দাম প্রতি লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে পুনরায় নির্ধারণ করা হয়। তাতে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪৪ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৩ টাকা।

দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা বছরে প্রায় ২০ লাখ টন। এর প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ফলে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া এবং মজুদ কমে আসা দেশের বাজারেও প্রভাব ফেলে। সয়াবিন তেল আমদানি করা হয় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে থেকে। ওই সব দেশেও দাম বাড়ছে।

ভোজ্য তেলের পাশাপাশি চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়। এ অবস্থায় পণ্যটির দাম পর্যালোচনার জন্য বৈঠকে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।

আরও পড়ুন


বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন আজ

মাগুরায় চার খুন, গ্রাম পুরুষশূন্য

নবীর ভবিষ্যদ্বাণী, বৃষ্টির মতো বিপদ নেমে আসবে

ক্ষমা ও রহমতের দোয়া

মানুষের সঙ্গে যেভাবে কথা বলতেন বিশ্বনবী


এদিকে গতকাল রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে দেশে পণ্যের দাম বাড়লে সরকারের কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ‘প্রতিনিয়ত কাজ’ করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যেমন—আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে কিছু করার থাকে না। তেল ও চিনির দাম বেড়েছে। এই পণ্যগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে বলেই বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েছে।

news24bd.tv রিমু  

এই রকম আরও টপিক